যারা নানা অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে আগামী জাতীয় কংগ্রেসে থাকতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগ কার্যালয়ে সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির সভার আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গত রোববার যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে অব্যাহতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনের ওই বৈঠকে জাতীয় কংগ্রেস বাস্তবায়নে একটি কমিটি করে দেন তিনি।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয় চয়ন ইসলামকে। তিনি যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক সংসদ সদস্য। আর সদস্য সচিব করা হয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদকে।
সংবাদ সম্মেলনে চয়ন ইসলাম বলেন, মাদক দুর্নীতি চাঁদাবাজ ও অন্যান্য যত অপকর্ম সবকিছুর ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স। অনুপ্রবেশকারীর ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স। আগামী কংগেসে তাদের সাথে আমরা নাই। তারা আমাদের সঙ্গে থাকতে পারবে না। আমরা ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি। অনেকগুলো উপকমিটি করছি। এত বড় সম্মেলন আমাদের হাতে সময় খুব কম, এত কম সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি দুঃসাধ্য ব্যাপার।
যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সম্মেলনকে বাস্তবায়ন করতে দৃঢ়চেতা মনোভাব নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। এই সম্মেলনকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে বলেন।
যুবলীগের নেতাকর্মীরা অপকর্মে জড়ালে দায়ভার নেবেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে চয়ন ইসলাম বলেন, যেখানেই অন্যায় দেখেছেন সেখানেই প্রতিহত করেছেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। এর বাইরে আপনারা কী চান? প্রতিরোধ করেছেন, এখানে আর কোনো কথা থাকতে পারে না। এই কংগ্রেস সফল করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
যুবলীগের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মে জড়ানোর পেছনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল, এবারের সম্মেলনে নেতৃত্ব কি নিয়ন্ত্রকদের হাত দিয়েই আসবে কি না জানতে চাইলে চয়ন ইসলাম বলেন, আমরা এটা বিশ্বাস করি না। যুবলীগ নিয়ন্ত্রণ করেন একমাত্র আমাদের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। এর বাইরে কোনো নিয়ন্ত্রক নেই। সুতরাং উনিই সিদ্ধান্ত নেবেন নেতৃত্ব কেমন হবে।
জাতীয় সম্মেলনের আগে ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণসহ মেয়াদ উত্তীর্ণ শাখাগুলোর কমিটি দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে চয়ন বলেন, জতীয় সম্মেলনের নতুন নেতৃত্ব আসবে, সেই নতুন কমিটি অন্য শাখা কমিটি দেবে।
সদস্য সচিব হারুনুর রশীদও বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন দিনের জন্য একটি সুন্দর সম্মেলন করে কমিটি দেয়াই আমাদের প্রধান কাজ। আমরা নেত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে আপনাদের নিয়ে এটি করব।
এ সময় প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান, সাঈদুর রহমান সাঈদ, ফারুক হোসেন, মজিবুর রহমান চৌধুরী, আনেয়ারুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দীন মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, এসএম জাহিদ, প্রচার সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, উপ স্বাস্থ্য সম্পাদক হেলালুদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাইনুল হাসান নিখিল, সাধারণ সাধারণ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ রেজাউল করিম রেজাসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।