আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে দণ্ডাদেশ কার্যকর করতে নতুন করে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার।
গত ১৫ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই টাস্কফোর্স গঠন করে আদেশ জারি করা হয়েছে। এর আগের সরকারের সময় এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল। গত জানুয়ারিতে নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর নতুন করে টাস্কফোর্স গঠন করা হলো।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কয়েকজন খুনিসহ বিভিন্ন মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছেন।
১১ সদস্যের নতুন টাস্কফোর্সের সভাপতি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল, পররাষ্ট্র সচিব, জননিরাপত্তা সচিব, সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) মহাপরিচালক এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক।
জননিরাপত্তা বিভাগ এ টাস্কফোর্সকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। টাস্কফোর্স বিদেশে অবস্থানরত আসামিদের (বাংলাদেশের নাগরিক) বিচারার্থে ও দণ্ডদানার্থে বাংলাদেশে আনতে তাদের নামের তালিকা প্রণয়ন করবে।
যথাযথ সূত্র ব্যবহার করে বিদেশে আসামিদের অবস্থান চিহ্নিতকরণ, সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার উপায় নির্ধারণ এবং ফেরত আনার কার্যক্রম তদারকি এবং কোনো আসামি ইতোমধ্যে বিদেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করে থাকলে সেক্ষেত্রে তাকে ফিরিয়ে আনার উপায় নির্ধারণ ও এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম তদারকি করবে টাস্কফোর্স।
টাস্কফোর্সের কার্যক্রম পূর্বের ধারাবাহিকতায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। টাস্কফোর্স প্রয়োজনে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। টাস্কফোর্সের সভা প্রয়োজন অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।