মোল্লা কাওসারকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি

মত ও পথ প্রতিবেদক

মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসার
মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসার। ফাইল ছবি

ক্যাসিনোকাণ্ডে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসারকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এই কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মোল্লা কাওসারকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদে থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি তাকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।’

সম্প্রতি রাজধানীর ক্যাসিনো কারবারে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনামে আসেন মোল্লা কাওসার।

গত সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে কাওসারসহ তার স্ত্রী পারভীন লুনা, মেয়ে নুজহাত নাদিয়া নীলা এবং তাদের প্রতিষ্ঠান ফাইন পাওয়ার সল্যুয়েশন লিমিটেডের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। এ কারণে সম্মেলনের আগেই তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে বলে সংগঠনের ভেতরে-বাইরে জোর গুঞ্জন শুরু হয়। এমন গুঞ্জনের মধ্যেই মোল্লা কাওসারকে অব্যাহতি দেওয়ার তথ্য জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মেনন সাহেব এখন উল্টো সুরে কথা বলছেন। তিনি ইউটার্ন নিয়ে ফেলেছেন অলরেডি। তিনি বলেছেন, তিনি এভাবে বলেননি। তার বক্তব্যটা খণ্ডিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল। তিনি একটি দলের সভাপতি পত্রপত্রিকায় খবর আসছে। এর প্রতিক্রিয়া এবং অন্যান্য বিষয় আছে তাদের দলের মূল্যায়নে তার অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে আগামী দিনগুলোতে, সেটা আমার মন্তব্য করা সমীচীন নয়।

তিনি বলেন, আমার সঙ্গে ১৪ দলের সমন্বয়ক নাসিম ভাইয়ের কথা হয়েছে। তারা রাশেদ খান মেননের বক্তব্য নিয়ে নিজেরা আলাপ আলোচনা করেছেন। বিষয়টি আলাপ আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে পরে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি শরিক দলের একজন নেতার জন্য ১৪ দল ভাঙতে পারে না। ১৪ দল অটুট থাকবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একজন ব্যক্তি যদি ভিন্ন মত পোষণ করেন একজন ব্যক্তির জন্য একটা অ্যালায়েন্সের অপমৃত্যু হতে পারে না।

ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সম্মেলনের বিষয়টা আপনারা প্রস্তুতি নিতে থাকেন, আমি নেত্রীর সঙ্গে আলাপ করে আপনাদের জানিয়ে দেব। এখানে একটা বিষয় আছে নির্বাচন কমিশন আগামী বছরের প্রথম দিকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের চিন্তা-ভাবনা করছে। কাজেই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সেটা বিচার করল আর বেশি দিন বাকি নেই। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে