ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল থেকে অস্ত্রসহ আটক হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতাসহ চারজনকে এবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে তাদের হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হাসিবুর রহমান তুষার, দর্শন বিভাগের ছাত্র ও ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক আবু বকর আলিফ, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতেখার ইসলাম তুষার এবং বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন ওরফে ইমরান ফরহাদ ইমু।
প্রক্টর বলেন, ফৌজদারী অপরাধ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় সাময়িকভাবে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা যেটি করেছে এটি কোনো ছাত্রের কাছে কাম্য নয়। হল প্রশাসন ইতিমধ্যে তাদেরকে বহিষ্কার করেছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ছিল তাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ব্যবস্থা।
আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না- এ বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সেখানে সন্তোষজনক উত্তর না পেলে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর রাতে মুহসীন হলের ১২১ নম্বর রুম থেকে অস্ত্রসহ ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা তুষার ও আলিফকে আটক করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. রিয়াজ ফরাজিকে ডেকে নিয়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেন তুষার ও আলিফ।
এ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে বিষয়টি জানতে পেরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে মুহসীন হলে অভিযানে যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় পিস্তল, ইয়াবা ও লাঠিসোটাসহ ছাত্রলীগ নেতা তুষার ও আলিফকে আটক করা হয়।
পরে মুহসীন হলের ১২১ নম্বর কক্ষটি সিলগালা করা হয়। যেখানে তুষার ও আলিফ থাকতেন। তাদের শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়।
তুষার ও আলিফ ছাড়া বহিষ্কৃত অপর দুই শিক্ষার্থীর বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর জানান, ইফতেখার ও ইমরান ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তারা পলাতক রয়েছে।