বিসিসিআইর মসনদে সৌরভ গাঙ্গুলি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সৌরভ গাঙ্গুলি
ফাইল ছবি

কলকাতার মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যয় এবার পুরো ভারতবর্ষের ক্রিকেটের রাজার আসনে সমাসিন হলেন। সৌরভ গাঙ্গুলি নামেই যিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত। আজ বুধবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হলেন সাবেক এই অধিনায়ক।

আরও দুই সপ্তাহ আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, বিসিসিআইর মসনদে বসতে যাচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। সাবেক প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর এবং এন শ্রীনিবাসন মিলে বিসিসিআইয়ের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করে সৌরভকেই।

universel cardiac hospital

এরপরই বিসিসিআইতে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেন সৌরভ। তার সঙ্গে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সভাপতি পদে বিন প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়ে যান গাঙ্গুলি।

তবে আনুষ্ঠানিকতা বাকি ছিল। যা আজ নিশ্চিত হয়ে গেছে। বুধবার বিসিসিআই’র বার্ষিক সাধারণ সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ডের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন মহারাজ।

একই সঙ্গে এ নিয়ে ৩৩ মাস (প্রায় তিন বছর) ধরে চলা সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত সিওএ (কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) জমানার অবসান হলো।

সভাপতি ছাড়াও বোর্ডের বাকি পদগুলিতেও কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হওয়ায় নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি এজিএমে। স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা। বৈঠকেই সৌরভ ছাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে সেক্রেটারির পদে আসীন হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র ছেলে জয় শাহ।

কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাবেক বিসিসিআই সভাপতি অনুরাগ ঠাকুরের ছোট ভাই অরুণ সিং ধুমাল। উত্তরখণ্ডের মহিম বার্মা ভাইস প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হলেন। কেরালার জয়েস জর্জ নিযুক্ত হন জয়েন্ট সেক্রেটারি পদে।

৪৭ বছরের সৌরভ গাঙ্গুলি বিসিসিআই’র ৩৯তম সভাপতি নিযুক্ত হলেন। দ্বিতীয় ভারত অধিনায়ক হিসেবে বোর্ডের সর্বোচ্চ পদে আসীন হলেন মহারাজ।

আগামী ৯ মাসের জন্য বোর্ড সভাপতির পদ অলংকৃত করবেন সাবেক ভারত অধিনায়ক। বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছর জুলাইয়ে সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে কুলিং-অফে যেতে হবে সৌরভকে।

এমন একটা সময়ে সৌরভ বিসিসিআই সভাপতির দায়িত্ব নিলেন, যখন ভারতীয় বোর্ডকে বাইরে রেখেই আইসিসি তাদের নতুন ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে। বিসিসিআইর আপত্তি সত্ত্বেও প্রতি বছর একটি করে আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

সঙ্গত কারণেই দায়িত্বভার গ্রহণের পর আইসিসির সঙ্গে সংঘাতে যেতে হবে সৌরভকে। পাশাপাশি বোর্ডের আভ্যন্তরীণ সমস্যাতেও নজর দিতে হবে মহারাজকে। বিভিন্ন সাব কমিটি গঠন ছাড়াও স্বার্থের সংঘাত বিষয়ে যথাযথ সমাধান সূত্র খুঁজে বার করাই হবে বোর্ড সভাপতি হিসেবে সৌরভের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে