পুতিন-এরদোগান বৈঠক শেষে তুরস্ক এবং রাশিয়া একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। দু’দেশের তরফ থেকে এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কুর্দি বাহিনীকে তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্ত থেকে হটানোর লক্ষ্যেই দু’দেশের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছে।
চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর পরই সেখানে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। অন্তত ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত কুর্দিদের হটিয়ে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরি করতে চায় তুর্কি বাহিনী।
তুরস্কে থাকা ৩০ লাখের বেশি সিরীয় শরণার্থীকে ওই অঞ্চলে পুনর্বাসিত করার পরিকল্পনার কথাও বলেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। তবে সমালোচকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এর ফলে ওই অঞ্চলে বসবাসরত কুর্দিরা জাতিগত নিধনের শিকার হতে পারে।
সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে হটাতে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল কুর্দি বাহিনী। কিন্তু কুর্দি বাহিনীকে সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করে থাকে তুরস্ক। অপরদিকে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া।
প্রথম থেকেই সিরিয়ায় অন্য দেশের হস্তক্ষেপ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মস্কো। তুরস্ক এবং রাশিয়া এখন যৌথভাবে সীমান্তে নজরদারি চালাবে। যুক্তরাষ্ট্র আকস্মিক সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘটনায় তুরস্ক ও রাশিয়াকে ওই অঞ্চলে অভিযানে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এই চুক্তি ঘোষণার পর তুরস্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সেখানে নতুন করে আর সামরিক অভিযান শুরুর প্রয়োজন নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি আলোচনার পর পাঁচদিনের যুদ্ধবিরতিতে তুরস্ক সম্মতি জানিয়েছে। তবে তুরস্কের অভিযানের প্রতি সম্মতি জানিয়েছে রাশিয়া।
- আরও পড়ুন >> জাপান সম্রাটের অভিষেকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
রাশিয়া এবং তুরস্কের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, মানবিজ এবং তাল রিফাত শহর থেকে কুর্দি বাহিনীকে হটানো হবে। এ বিষয়ে কুর্দি বাহিনীর তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। দু’দেশের পরিকল্পনা অনুযায়ী কুর্দি বাহিনী যেন আবারও ফিরে আসতে না পারে সেজন্য রাশিয়া এবং তুরস্ক সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে যৌথভাবে নজরদারি চালাবে। বুধবার থেকেই এই কার্যক্রম শুরু হবে।