চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিওনেল মেসির ইতিহাস গড়ার রাতে স্লাভিয়ার মাঠে স্বস্তির জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। বুধবার রাতে এফ’ গ্রুপের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে এরনেস্তো ভালভেরদের শিষ্যরা।
ম্যাচ শুরুর তৃতীয় মিনিটেই দলকে এগিয়ে নেন বার্সেলোনা তারকা মেসি। সতীর্থের পাস পেয়ে একজনকে ফাঁকি দিয়ে আর্থারকে বল বাড়িয়ে চোখের পলকে ঢুকে পড়েন ডি-বক্সে। ফিরতি বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন বার্সা অধিনায়ক। আর এই গোলের মাধ্যমে রেকর্ডের খাতায় নাম লেখান বার্সা অধিনায়ক।
আসরে এটিই ছিল মেসির প্রথম গোল। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ১৫ আসরে গোল করার অনন্য কীর্তি গড়লেন আর্জেস্টাইন এই তারকা। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে সর্বাধিক ৩৩টি দলের বিপক্ষে গোল করার রেকর্ডের মালিক ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও রাউল গনসালেসের পাশে নিজের নাম লেখালেন তিনি।
গোল খেয়ে যেন জেগে উঠে প্রাগ। একের পর এক আক্রমণে জেরার্ড পিকে, নেলসন সেমেদোদের রীতিমত পরীক্ষায় ফেলে দেয় তারা। বার্সার রক্ষণের দুর্বলতা আবিষ্কার করার পর থেকে টানা বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানায় প্রাগ। বিশেষ করে পিটার অলিয়েঙ্কা এবং টমাস সসেকের দুটি শট ছিল দুর্দান্ত। তবে রক্ষণের ব্যর্থতার মাঝেও নিজের মাথা ঠাণ্ডা রেখেছেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের-স্টেগান। গোটা মৌসুমেই দুর্দান্ত কিছু সেভ করে চমকে দেওয়া টের-স্টেগান এদিন যেন বার্সার রক্ষণের ত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন। একক প্রচেষ্টায় প্রতিপক্ষের বেশ কিছু গোলের সুযোগ কেড়ে নিয়েছেন তিনি।
প্রথমার্ধে বার্সার গোলমুখে প্রাগ শট নিয়েছিল ১০টি, যার মধ্যে অন শট ছিল ছয়টি। আর একই সময়ে গোলমুখে বার্সার শট ছয়টি আর অন শট চারটি। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের অপেক্ষা দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকেই শেষ হয়। মাসুপাস্টের দারুণভাবে বাড়িয়ে দেওয়া বলে টের-স্টেগানকে পরাস্ত করেন চেক রিপাবলিকের ডিফেন্ডার ইয়ান বোরিল।
সমতায় ফেরার স্বস্তি অবশ্য স্থায়ী হয়নি দলটির। ৫৭তম মিনিটে মেসির ফ্রি কিকে ডান দিকের বাইলাইনের একেবারে কাছ থেকে সুয়ারেসের আলতো করে নেয়া শট ওলাইয়াঙ্কার বুকে লেগে জালে জড়ায়। কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের।
শেষ দিকে বার্সেলোনার রক্ষণে একচেটিয়া চাপ ধরে রাখে স্লাভিয়া। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে তারা। সেগুলো রুখে দিয়ে মূল্যবান ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফেরে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা।
তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। দ্বিতীয় স্থানে আছে জার্মানির ক্লাব ডর্টমুন্ড।