আবারও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দেখা যাবে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে, আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে মুখোমুখি হবে প্যারাগুয়ের—এমন একটা খবরে খুশি হয়েছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন এরই মধ্যে তাদের সূচি থেকে ঢাকার ম্যাচটি সরিয়ে ফেলেছে।
শুধু তা-ই নয়, প্রতিপক্ষের নামও বদলে ফেলেছে। নতুন সূচিতে দেখা যাচ্ছে, ১৯ নভেম্বর আর্জেন্টিনা ইসরায়েলে খেলবে উরুগুয়ের বিপক্ষে। তবে কি আর্জেন্টিনা ঢাকায় আসছে না?
আগের সূচি অনুযায়ী ঢাকায় আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে ম্যাচটা হওয়ার কথা ছিল আগামী ১৮ নভেম্বর। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও আর্জেন্টিনাকে ঢাকায় আনার আশা ছাড়ছে না বাফুফে। সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ কাল জানালেন, ‘আমরা এখনো এই ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী। খেলা যে ঢাকায় হবে না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে এখনই কিছু বলতে পারছি না। আরও কিছুদিন পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু জানাতে পারব।’
আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে ফিফা প্রীতি ম্যাচটি যে এজেন্টের মাধ্যমে আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে বাফুফে। এজেন্টের কাছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এই ম্যাচের আনুষ্ঠানিকতা সম্পর্কিত বেশ কিছু কাগজপত্র চেয়েছে। নিয়মানুযায়ী, এমন আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিপক্ষ দুই দেশের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির স্বাক্ষরসংবলিত ফিফার নির্দিষ্ট একটি ফরম পেয়ে থাকে আয়োজক ফেডারেশন। সেই ফরমটাও এজেন্টদের মাধ্যমে আসতে হয়। এরপর বাফুফে স্বাগতিক হওয়ার জন্য সম্মতিসূচক আরেকটি ফরমে আবেদন করবে ফিফায়। এতসব প্রক্রিয়া এত কম সময়ে শেষ করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে বাফুফে।
বাফুফের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীও একটু সংশয়ে নিয়েই বলেছেন, ‘আমরা মূলত এই ম্যাচের ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে। কিন্তু এই মুহূর্তে সেটা যেহেতু হচ্ছে না, তাই ম্যাচটি আমরা মার্চ মাসের পরে করতে চেয়েছি। তা ছাড়া এত স্বল্প সময়ে তাদের আনাটা একটু কঠিনই হবে। যদিও এজেন্টদের পক্ষ থেকে এখনো সময় চাওয়া হচ্ছে। আমরা তাই সম্ভাবনা এখনই বাতিল করে দিচ্ছি না। আগামী সপ্তাহে হয়তো চূড়ান্তভাবে বলা যাবে আসলেই আর্জেন্টিনা ঢাকায় আসবে কি না।’
এর আগে ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়া।