বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৫টা ২৬ মিনিটে।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সারাদিন ভোট দিয়েছে শিল্পীরা। বিএফডিসির গেটে সকাল থেকেই পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মোট ভোটার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৮৬ জন। ভোটগ্রহণ শেষে এখন ফলাফলের অপেক্ষা।
সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রার্থীরা বাইরে মনিটরে দেখছেন ভোট গণনা।
নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ভোটগ্রহণ শেষ হলো। আমরা ভোট গণনা শুরু করেছি। ভোট গণনা শেষ করে আমরা ফলাফল ঘোষণা করবে।
২০১৯-২১ মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহ-সভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ।
সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই।
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর।
- অপমানিত হয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের বিরুদ্ধে হায়াত-খোকনের ক্ষোভ
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোটের পরিবেশ নিয়ে যা বললেন মৌসুমী
সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত জ্যাকি আলমগীর এবং ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন—অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।