জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন-ন্যাম এর ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্বই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি।
এ সময় ‘রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা সূচকে দেশ এগিয়ে গেলেও রোহিঙ্গা সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ।
স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় আজারবাইজানের বাকুতে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনের সাধারণ আলোচনায় একথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক আর মানবপাচারের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
আজারবাইজানের বাকুতে শুরু হয়েছে ১২০ উন্নয়নশীল দেশের ফোরাম ১৮তম জোট নিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলন। স্থানীয় সময় সকালে এ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। বাকু কংগ্রেস সেন্টারে তাকে স্বাগত জানান আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম অ্যালিয়েভ।
ন্যাম প্রধান ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। আগামী ৩ বছরের জন্য ন্যাম চেয়ারপারসনের দায়িত্ব বুঝে নেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট।
শুক্রবার বিকেলে ‘সমসাময়িক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুতসই সমাধান’ শীর্ষক সেশনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র হ্রাস, খাদ্য নিরাপত্তা, নারী ও শিশু মৃত্যু হার হ্রাস করাসহ তার সরকারের বিভিন্ন সফলতার কথা তুলেন ধরেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, নানা সূচকে দেশ এগিয়ে গেলেও রোহিঙ্গা সংকটের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ।
ন্যাম সম্মেলনের সাইড লাইনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।