স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাকর্মীরাই দায়িত্ব নেবে : ওবায়দুল কাদের

মত ও পথ প্রতিবেদক

ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজেদের পকেট কিংবা পক্ষ ভারী করতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে অনুপ্রবেশ না ঘটাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সহযোগী এই সংগঠনটিতে বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আজ শুক্রবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

universel cardiac hospital

ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভপাতি মোল্লা মো. আবু কাওছারকে। অন্যদিকে সম্মেলনের সব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথকে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগে বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে। যারা বিতর্কিত, যাদের বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ আছে, আমি আবারো বলছি তাদের বাদ দিতে হবে। নতুন ফ্রেশ ব্লাড আমরা চাই, আমাদের নেত্রী চান। এখানে যেন কোনো প্রকার বিতর্কিত ব্যক্তি, অনুপ্রেবেশকারী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো পর্যায়ের নেতৃত্বে স্থান না পায়, এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

কাদের বলেন, দল করলে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে । দুই চারজনের শৃঙ্খলাবিরোধী অপকর্মের জন্য গোটা প্রতিষ্ঠান দায়ী হতে পারে না। এই প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য ত্যাগী নেতাকর্মী রয়েছে। যাদের অধিকাংশই অতীতে ছাত্রলীগ করেছে এবং দুঃসময়ে ছাত্রলীগ করে তারা স্বেচ্ছাসেবক লীগে এসেছে। এখানে কারো বিচ্যুতি ঘটলে, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে অবশ্যই তাদের নেতৃত্বে থাকার কোনো অধিকার নেই।

নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলের নিয়ম শৃঙ্খলা যারা মানেন না, পকেট ভারী করার জন্য তাদেরকে দলে টানবেন না। নিজেদের দল ভারী করার জন্য দলে বিতর্কিত ব্যক্তিদের অনুপ্রবেশ ঘটাবেন না। এই বিতর্কিত ব্যক্তিরা ভালোর চেয়েও খারাপই করে থাকে বেশি এবং দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইবে। সেই অবস্থায় এবার আমারা ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব এবার গড়ে তুলতে চাই। ক্লিন ইমেজের লিডারশিপ আমরা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে গড়ে দিতে চাই, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাকর্মীরাই দায়িত্ব নেবে।

কাদের বলেন, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও জাতীয় শ্রমিক লীগ, এই চারটি সংগঠনের কমিটির মেয়াদোর্ত্তীণ হয়ে গেছে। সাত বছরে আরও দুইটি কমিটি হতে পারতো কমপক্ষে। সেখানে আরও একবার সম্মেলন হতে পারতো। তাতে নতুন মুখ আসতে পারতো। নয়া নেতৃত্ব সৃষ্টি হতে পারতো কিন্তু সেটা হয়নি। এখন এবারকার সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে পুরানো অভিজ্ঞ মুখও থাকবে আবার নতুন মুখও এখানে আসতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের নিয়ে আমাকে নেত্রী যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠিত হয়েছে। এই প্রস্তুতি কমিটির মাধ্যমেই স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।

১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক নির্মল গুহ এবং পরিচালনা করবেন সদস্য সচিব গাজী মেসবাউল হক সাচ্চু। সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটিতে সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে যারা যারা থাকতে চান তাদেরও রাখার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বান নির্মল গুহ, সদস্য সচিব গাজী মেসবাউল হক সাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা প্রমুখ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে