বাংলাদেশে জনজীবন

আবুল কাসেম ফজলুল হক

আবুল কাসেম ফজলুল হক
আবুল কাসেম ফজলুল হক

ক্ষুধা ও যৌনতাড়না সবার মধ্যেই আছে। এর মধ্যে কিছু লোককে দেখা যায় পেটুক ও কামুক। তাদের নিয়ে সমাজে নানা সমস্যা দেখা দেয়। সম্পত্তিলিপ্সা, ক্ষমতালিপ্সা, খ্যাতিলিপ্সা কিছু লোকের মধ্যে অত্যন্ত প্রবল। যদি তারা কোনো মহৎ লক্ষ্য অবলম্বন না করে শুধু নিজেদের লিপ্সা চরিতার্থ করাতে লিপ্ত থাকে, তাহলে সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্র বিপর্যয়ে পড়ে।

বাংলাদেশের অবস্থাটা এখন কেমন? পেটুক, কামুক, ক্ষমতা-উন্মাদ, অর্থপিশাচ, খ্যাতিপাগল লোকদের বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষের দিকে তাকালে দেখা যায় অবস্থা শান্ত। খাওয়া-পরা আর জানমালের নিরাপত্তার বাইরে তাদের মধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা অল্পই দেখা যায়। অনেকে তাদের ছেলে-মেয়েদের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় নাগরিক করার জন্য উদগ্রীব।

যারা খুব সক্রিয় তারা বলে থাকে যে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। বেশির ভাগ লোক এই মনোভাব নিয়ে চলছে না, তাদের মধ্যে কর্তৃপক্ষের প্রতি অনাস্থা এবং জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে হতাশা বিরাজ করছে।

প্রায় সাড়ে ১০ কোটি ভোটারের এই দেশে বিভিন্ন অবস্থানের মানুষের প্রবণতা, আশা-আকাঙ্ক্ষা, চিন্তা-চেতনা ও কর্মতৎপরতার পরিচয় পাওয়া খুব কঠিন কাজ। একটা ব্যাপার দেখা যায়, রাজনীতির প্রতি সাধারণ লোক খুব বিরূপ। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ইত্যাদির কথা তুললে প্রায় সব লোকে বিরক্তি প্রকাশ করে, রাজনীতির সমালোচনাও শুনতে চায় না লোকে। রাজনীতির প্রতি আস্থা আছে, সাধারণের মধ্যে এমন লোক দুর্লভ। ছাত্র-তরুণদের মধ্যে, শিক্ষিত লোকদের মধ্যে অনেককেই বলতে শোনা যায়—

I hate politics, Depoliticization-এর কর্মনীতি বাংলাদেশে সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। দেশে উৎপাদন বেড়েছে, সম্পদ বেড়েছে, নানাভাবে বাইরের দুনিয়া থেকেও লোকে আয় করছে, সরকারের আয়ও স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে—এ নিয়ে ক্ষমতাসীনরা গর্ব প্রকাশ করছে। বাইবেলে আছে, Man does not live by bread alone. বাইবেলের এই কথাকে গত তিন-চার দশকের মধ্যে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করেছে।

অতীতের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের ব্যক্তিত্ব ও মহৎ কার্যাবলি স্মরণ করলে নতুন মহৎ কাজ করার ও মহান ব্যক্তিত্ব অর্জনের প্রেরণা সৃষ্টি হয়। পূর্ব সাধকদের স্মরণে উত্তর সাধকদের শ্রদ্ধাপূর্ণ অনুষ্ঠান উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সৃষ্টির সহায়ক। বাংলাদেশে অনুষ্ঠান ও স্মরণের আয়োজনের অভাব নেই। নানাভাবে অনেককে পুরস্কৃতও করা হয়। কিন্তু শ্রদ্ধার ব্যাপার কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। বঙ্গবন্ধুকে এবং রবীন্দ্রনাথকে খুব স্মরণ করা হয়। এর মধ্যে শ্রদ্ধার ব্যাপার কি সর্বত্র থাকে।

এ সময়ে যার ক্ষতি করার শক্তি যত বেশি, তার প্রভাব-প্রতিপত্তি তত বেশি। মানুষের কল্যাণ করার শক্তি এ সমাজে কোনো শক্তি বলেই স্বীকৃতি পায় না। কবি শামসুর রাহমান লিখেছিলেন—

যাঁদের কথায় জগৎ আলোয়

বোবা আজকে তাঁরা,

মুখে তুবড়ি ফোটে তাঁদের

আকাট মূর্খ যারা।

ষাটের দশকে মার্ক্সবাদী বলে আত্মপরিচয়দানকারী কোনো কোনো গ্রুপ রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ মনীষীদের ইংরেজের দালাল ও সুবিধাবাদী বলে অভিহিত করে তাঁদের নিন্দা করেছেন। কলকাতার স্ট্রিট কর্নারে তাঁরা বঙ্কিম ছাড়া সব মনীষীর ভাস্কর্য ভেঙেছেন। বন্দে মাতরম মন্ত্রের উদ্ভাবক বলে বঙ্কিমের প্রতি তাঁদের বিরূপতা ছিল না। সুভাষ বসুর কোলে ভাস্কর্য স্ট্রিট কর্নারে ছিল কি না আমি জানি না। সম্পূর্ণ নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাঁরা শ্রদ্ধাযোগ্য প্রায় সব কিছুর বিরুদ্ধে সবার মনে—বিশেষ করে ছাত্র-তরুণদের মনে অশ্রদ্ধা জাগানোর চেষ্টা করেছেন। ঢাকাকেন্দ্রিক সংস্কৃতিতেও এই কর্মকাণ্ডের অনুসরণ দেখা গেছে। এটা ক্ষতির কারণ হয়েছে। আশির দশকের শুরু থেকে যাঁরা মৌলবাদবিরোধী আন্দোলন করেছেন, তাঁদের মধ্যে গণতন্ত্রের প্রতি কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। তাঁদের কোনো কোনো গ্রুপ ধর্মপ্রবর্তক ও ধর্মের প্রতি জনমনে অশ্রদ্ধা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। এর ফল খারাপ হয়েছে। ইতিহাসের চাকা পেছন দিকে ঘুরেছে এবং ঘুরছে। নানা রকম উগ্রতা ক্ষতির কারণ হয়েছে। এসব ক্ষতিকর কাজ পরিহার্য। ইতিহাসে দেখা যায়, যাঁরা মানবকল্যাণে অসাধারণ বড় কাজ করেছেন তাঁরা অনেকে ধর্মাবলম্বী এবং অনেকে আদর্শাবলম্বী। ধর্ম প্রবর্তকরা শ্রদ্ধেয়, আদর্শ-প্রতিষ্ঠাতারাও শ্রদ্ধেয়। তাঁদের শ্রদ্ধা না করলে শ্রদ্ধাযোগ্য নতুন মনীষীর আত্মপ্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়। তাতে শুধু অর্থবিত্ত ও ক্ষমতাই সমীহযোগ্য হয়। বাস্তবে ও ইতিহাসে শ্রদ্ধাযোগ্য মানুষ খুঁজে না পাওয়া দুর্ভাগ্যের ব্যাপার।

মানুষের জীবন সব সময় সমস্যাপূর্ণ। সমস্যা বাড়তে বাড়তে কখনো কখনো সংকট সৃষ্টি হয়। ব্যক্তিগত ও সম্মিলিতভাবে জেনারেশনের পর জেনারেশন ধরে সমস্যার পর সমস্যার ও সংকটের পর সংকটের সমাধান করে করেই মানুষ জীবন যাপন করে এবং নিজের ও সবার জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করে। সমস্যা ও সংকটের সমাধান এবং উন্নত ভবিষ্যৎ সৃষ্টি সম্ভব—এ বিশ্বাস ব্যক্তি, গোষ্ঠী, জাতি বা মানবজাতিকে আশাবাদী রাখে। নানা কারণে এ বিশ্বাস যখন ক্ষয় পেতে থাকে এবং লোপ পায়, তখন দেখা দেয় নৈরাশ্য ও নৈরাশ্যবাদ। তাতে অন্ধকার যুগ সামনে আসে। তারপর ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত চেষ্টায় অন্ধকার যুগেরও অবসান ঘটে। বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে এখন দরকার, উন্নত ভবিষ্যৎ সৃষ্টি সম্ভব—এই উপলব্ধি। দরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহান লক্ষ্য। দরকার বড় কিছু অর্জনের জন্য ছোট কিছু ত্যাগ করার মনোভাব। দরকার উন্নত বৌদ্ধিক চরিত্র ও সৃষ্টিশীলতা।

দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়—এমন মাত্র ২০০ ভাষা দুনিয়ায় আছে। এসব ভাষা বিকাশমান। এগুলোর মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্প-সাহিত্যের দিক দিয়ে বাংলা ভাষার স্থান এখনো ওপরের দিকেই আছে। এগুলো ছাড়া বিভিন্ন মহাদেশে কয়েক হাজার ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী আছে। তাদেরও আলাদা আলাদা ভাষা আছে। তাদের ভাষা বিলীয়মান। বাংলাদেশে ৪৫টি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর ৪৫টি বিলীয়মান মাতৃভাষা আছে। এই ৪৫টি জনগোষ্ঠীর মোট জনসংখ্যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের সামান্য বেশি। এরা জন্মের পর থেকেই নিজেদের ভাষার মতো বাংলা ভাষাও শেখে। এদের বলা হয় দ্বিভাষিক (Bilingual)| বাংলা ভাষাকেই তারা উন্নতির অবলম্বন মনে করে। বিভিন্ন রাষ্ট্রের এবং বাংলাদেশেরও বিলীয়মান মাতৃভাষাগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা বাস্তবসম্মত নয়। এ ক্ষেত্রে ইউনেসকোর প্রচার ও কাজ বাস্তবতাবিরোধী। ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীগুলোর লোকেরা জীবনযাত্রার ও উন্নতির প্রয়োজনে নিজেদের ভাষার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্রভাষা শিখছে। এর মধ্যে রয়েছে এদের উন্নতির সম্ভাবনা। বিভিন্ন রাষ্ট্রে ছড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীগুলোর উন্নতির ও মানবজাতির মূলধারায় আসার সুযোগ বাড়াতে হবে। তাদের চিরকাল আদিবাসী করে রাখার নীতি বর্জনীয়।

আমাদের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মূল চেতনা ও উদ্দেশ্য থেকে ইউনেসকোর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম ভিন্ন প্রকৃতির। এর দ্বারা রাষ্ট্রভাষারূপে বাংলা ভাষার প্রতিষ্ঠা ব্যাহত হচ্ছে এবং রাষ্ট্ররূপে বাংলাদেশের গড়ে ওঠার সম্ভাবনা নষ্ট হচ্ছে। বিলীয়মান মাতৃভাষাগুলোর উন্নতির জন্য রাষ্ট্রভাষা বাংলার উন্নতিকে স্থগিত রাখা ঠিক হবে না। নতুন ভবিষ্যৎ সৃষ্টিতে আমাদের এগোতে হবে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ধারা ধরে। ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীগুলোর উন্নতিকেও স্থগিত রাখা যাবে না তাদের ভাষার উন্নতির জন্য। তাদের সার্বিক উন্নতির বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা রাষ্ট্রকে গ্রহণ করতে হবে। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের কিংবা বহুত্বমূলক ঐক্যের নীতি অবলম্বন করতে হবে। বৈচিত্র্যে বা বহুত্বে যেমন গুরুত্ব দিতে হবে, তেমনি ঐক্যেও গুরুত্ব দিতে হবে।

আমাদের উপলব্ধি করা দরকার যে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও উন্নতির জন্য রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার অস্তিত্ব ও উন্নতি অপরিহার্য। চলমান বহু ঘটনা আছে, যেগুলো দেখে বলা যায়, রাষ্ট্রভাষা না টিকলে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ টিকবে না। দেশ থাকবে, মাটি, মানুষ, গাছপালা, পশুপাখি, নদী-নালা ও আকাশ-বাতাস থাকবে; কিন্তু রাষ্ট্র থাকবে না। যারা বাংলাদেশে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার বদলে ইংরেজি চান তাঁরা রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে রক্ষা করবেন?

দেশ ও রাষ্ট্র এক নয়। দেশ প্রকৃতির সৃষ্টি, রাষ্ট্র মানুষের। আমাদের রাষ্ট্র না থাকলে, শুধু দেশ থাকলে আমরা কি ভালো থাকব? নিজেদের রাষ্ট্র না থাকলে আমরা কি স্বাধীন থাকব? ১৯৭১ সালে কেন আমরা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম? ছয় দফা আন্দোলনে কেন আমরা যোগ দিয়েছিলাম? কেন আমরা ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হতে চেয়েছিলাম? বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে গড়ে তোলার লক্ষ্য বাদ দিয়ে চললে এসব চাওয়া অর্থহীন হয়ে যায়।

জাতি ও রাষ্ট্র গঠনের প্রয়োজনে শিক্ষা খাতে শর্তযুক্ত সব রকম বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্য পরিহার করতে হবে। প্রচলিত শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থার আমূল সংস্কার অপরিহার্য। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠসূচি, পাঠক্রম ও পাঠ্যপুস্তক উন্নত করতে হবে। কথিত সৃজনশীল পরীক্ষাপদ্ধতির জায়গায় অনুসন্ধিৎসামুখী জ্ঞানমুখী পরীক্ষাপদ্ধতি প্রবর্তন করতে হবে। ইংলিশ ভার্সন বিলুপ্ত করতে হবে। বাংলাদেশে বিদেশি সরকার কর্তৃক পরিচালিত সব স্কুল বন্ধ করতে হবে। মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে বিতর্ক এড়িয়ে চলতে হবে। সর্বজনীন কল্যাণে মূলধারার বাংলা মাধ্যমের শিক্ষাকে উন্নত করতে হবে। বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটাতে হবে।

যাঁরা জন্মগতভাবে বাংলাদেশের নাগরিক; কিন্তু পছন্দগতভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্রের নাগরিক, যাঁরা তাদের ছেলে-মেয়েদের ওই সব রাষ্ট্রের নাগরিক করেছেন, তাঁদের নেতৃত্বে ও পরিচালনায় বাংলাদেশ কখনো স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে গড়ে উঠবে না। বাংলাদেশকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্ররূপে গড়ে তোলার জন্য যা কিছু করা দরকার সবই করতে হবে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার সময় চলে যাচ্ছে। সময় থাকতে চিন্তা ও কাজ না করলে সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যায়। আজকের মূল প্রশ্ন—বাংলাদেশকে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে গড়ে তুলব কি তুলব না। যদি সিদ্ধান্ত হয় গড়ে তুলব, তাহলে সময় নষ্ট না করে কাজ আরম্ভ করতে হবে। রাষ্ট্র গঠনের জন্য চিন্তা ও চেষ্টা লাগে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাষ্ট্র গঠিত হয় না।

একুশে ফেব্রুয়ারিকে উদ্যাপন করতে হবে ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’রূপে। রাষ্ট্রভাষা দিবস উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের এবং রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নবচেতনা সৃষ্টি করতে হবে।

লেখক : প্রগতিশীল চিন্তাবিদ ও সাবেক অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে