জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আজ শনিবার সকালে এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এসময় অন্যদের মধ্যে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের দৌহিত্র এ কে ফাইয়াজুল হকসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মাজার প্রাঙ্গণে শেরে বাংলা জাতীয় স্মৃতি সংসদ ও বিশ্ব বাঙালি সম্মেলনের আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ.ম.রেজাউল করিম বলেন, ‘শেরে বাংলাকে অনুসরণ করতে হলে আত্মোৎসর্গের রাজনীতিতে ফিরে আসতে হবে। পচন ধরা অবক্ষয়ের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সৃজনশীল এবং গুণগতমানের রাজনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন বাঙালি জাতির ইতিহাসের অন্যতম মহানায়ক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা একদিনে আসেনি। দীর্ঘ ধারাবাহিক পথপরিক্রমায় আন্দোলন-সংগ্রাম আর ত্যাগ স্বীকার করে বাঙালি একটি স্থানে এসে পৌঁছায়। সে ধারাবাহিকতায় বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য শেরে বাংলা যে সময় ভূমিকা রেখেছিলেন, সে সময় কথা বলার দুঃসাহস অনেকেই রাখতেন না। তিনি কখনো রাজনৈতিকভাবে, কখনো প্রশাসক হিসেবে, কখনো সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে নানাভাবে বাঙালির অধিকারের জন্য কাজ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘শেরে বাংলার নীতিকে প্রকৃতভাবে অনুসরণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন বাঙালি জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলার রাজনীতি ছিল মানুষের জন্য। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিও তাই ছিল। শেরে বাংলা ও বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ছিল ভোগের নয়, ত্যাগের রাজনীতি।
শেরে বাংলা জাতীয় স্মৃতি সংসদ ও বিশ্ব বাঙালি সম্মেলনের সভাপতি মুহম্মদ আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উল্লেখ্য, ২৬ অক্টৈাবর জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী । ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।