পাকিস্তানের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিন পেলেও কারাগারে অসুস্থ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
দলীয় প্রধানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) নিজে তুলে খেতে পারছেন না, টয়লেটে যেতে পারছেন না। তাকে কাউকে না কাউকে সাহায্য করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, উনার (খালেদা জিয়া) যে অসুখ যদি যথাযথ চিকিৎসা না হয়, তাহলে এটা আরও খারাপের দিকে যায়। ওখান থেকে আর ফিরে আসা যায় না। এই কথাটা আমরা বহুবার বলেছি। সংবাদ সম্মেলন করে বলেছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা প্রত্যেকটি বিষয়ে বলেছি, যারা দায়িত্বে আছেন তাদের বলেছি। তার যাতে চিকিৎসা না হয়, তিনি যেন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যান, এটাই সরকারের কাম্য। আমার কাছে বারবার এটাই মনে হয়েছে। কারণ যে মামলায় খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য, সে মামলাগুলোয় তিনি জামিন পাচ্ছেন না। বিভিন্ন কারসাজি করে তার জামিন আটকে দেয়া হচ্ছে। লক্ষ্যটাই হচ্ছে- উনি যেন কারাগার থেকে বের হতে না পারেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, গতকাল (শুক্রবার) খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। তারাও তার চিকিৎসার ব্যাপারটা তুলে ধরেছেন। এটা পরিবারের বক্তব্য, এটা থাকবেই।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে দলীয় বক্তব্য তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, বারবার যেটা বলে আসছি, তিনি জামিন পেলে তার পছন্দমতো তিনি যেখানে ইচ্ছা চিকিৎসা করাবেন। এটা তার অধিকার। পাকিস্তানের নওয়াজ শরিফের সাজা হলেও তাকে জামিন দেয়া হয়েছে। তিনি অসুস্থ, সে কারণে তাকে জামিন দেয়া হয়েছে। কতগুলো বিষয় আছে, যা মানবিক। এটা না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকারই বাধা সৃষ্টি করছে।