মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের অপ্রত্যাশিত ফলাফলের পরে, শুক্রবার মহারাষ্ট্র কংগ্রেস ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা প্রয়োজনে শিবসেনা নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করতে পারে। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) প্রবীণ নেতা ও প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছগন ভূজবাল এবং কংগ্রেসের প্রবীণ সংসদ সদস্য হুসেন দলভী ইঙ্গিত দেন যে তারা বন্ধু হিসাবে শিবসেনার হাত ধরতে প্রস্তুত।
তবে শর্ত একটাই, ক্ষমতাসীন বিজেপির হাত ছাড়তে হবে উদ্ধব ঠাকরের দলকে। একটি সিন্ডিকেট ফিডের বরাত দিয়ে সরাসরি এই তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
মনে করা হচ্ছে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই এই প্রস্তাব দেয় মহারাষ্ট্রের দুই বিরোধী শক্তি। যদিও রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি বালাসাহেব থোরাট সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছেন, ‘এই বিষয়ে এখনও শিবসেনার সঙ্গে আমাদের কোনও আলোচনা হয়নি।’
মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সভাপতি বালাসাহেব থোরাট বলেন, ‘তবে, যদি তা হয় তবে আমরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দলীয় হাই কমান্ডের সামনে একটি প্রস্তাব রাখব।’
সদ্য সমাপ্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় যে, ২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় কংগ্রেস, এনসিপি এবং তার অন্য সহযোগী দলগুলো সেখানে মোট ১১৭ টি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি-শিবসেনা জোট যৌথভাবে পেয়েছে ১৬১টি আসন।
যদিও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস এ ধরণের সমস্ত জাতীয় জল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন যে সে রাজ্যে ফের সরকার গঠন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি।
এদিকে এরই মধ্যে মুম্বাইয়ে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরের নামে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়েছে। ওই পোস্টারগুলিতে তাকে ‘ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। যা থেকে পরিষ্কার, শিবসেনা কর্মীরা তাকে রাজ্যের সর্বোচ্চ আসনে দেখতে চায়।
ওরলি কেন্দ্র, যেখান থেকে জয়লাভ করেছেন তরুণ আদিত্য, সেখানেই এই পোস্টারগুলি দেখা গেছে। সেখানে তাকে বর্ণনা করা হয়েছে ‘শিবসেনার তরুণ নেতা ও সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী’ বলে। সব মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করা নিয়ে ক্রমশই বাড়ছে নানা জল্পনা।