সংগঠনের বিতর্কিতদের ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কংগ্রেস প্রস্তুত কমিটি। আগামী ২৩ নভেম্বর হতে যাওয়া কেন্দ্রীয় সম্মেলনে কাউন্সিলর ও ডেলিগেট তালিকায় কোনো বিতর্কিত ব্যক্তির নাম সংযুক্ত না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব হারুনুর রশিদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এছাড়া সম্মেলনের দিন পর্যন্ত যুবলীগের জেলা, মহানগর ও এর আওতায় কোনো কমিটি বিলুপ্ত করা বা নতুন করে গঠন না করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। এরই মধ্যে চিঠিটি জেলা ও মহানগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ নানা কারণে সম্প্রতি আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে সংগঠনটির কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন নজরদারিতে।
সংগঠনের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ২৩ নভেম্বর জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে সংগঠনটিতে আসবে নতুন নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, বিতর্কিতরা থাকবে না যুবলীগের নেতৃত্বে।
কেন্দ্র থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, আগামী ২৩ নভেম্বর সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের এর সপ্তম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সফলভাবে এটি সম্পন্ন করার জন্য জেলা ও মহানগর কমিটিগুলোর উল্লেখিত নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, জেলা ও জেলার শাখাসমূহের মৃত/নিহত যুবলীগ কর্মীদের নাম, ঠিকানা ও রাজনৈতিক পদবি ছবিসহ আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দপ্তর উপ-কমিটিতে (যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়) পাঠাতে হবে। ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত জেলা/জেলাধীন/মহানগর/মহানগরাধীন কোনো কমিটি বিলুপ্ত করা বা নতুন করে গঠন করা যাবে না।
প্রত্যেক জেলা/মহানগর শাখার ২৫ জন কাউন্সিলর ও ৫০ জন ডেলিগেটের নাম, মোবাইল নম্বরসহ আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দপ্তর উপ-কমিটিতে পাঠাতে হবে; কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদিত জেলা/মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ/আহ্বায়ক কমিটির ফটোকপি আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দপ্তর উপ-কমিটিতে পাঠাতে হবে; সপ্তম কংগ্রেসের দিন প্রত্যেক জেলা/মহানগর শাখার জন্য নির্ধারিত খাবার স্ব স্ব জেলা/মহানগর শাখার সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক/আহ্বায়ক/যুগ্ম-আহ্বায়করা নিজ নিজ দায়িত্বে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছ থেকে সংগ্রহ করবেন।