মনগড়া তথ্য: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছে মিয়ানমার

মত ও পথ প্রতিবেদক

রোহিঙ্গা
ফাইল ছবি

মনগড়া তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন এড়াতে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নির্মূলকরণ অভিযান ও গণহত্যা চালানো হচ্ছে- বাংলাদেশের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার যে বক্তব্য দিয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

৩০ অক্টোবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রতিবাদে বাংলাদেশ স্পষ্ট করে বলেছে, প্রত্যাবাসনের দায়বদ্ধতা এড়াতে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।

universel cardiac hospital

গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী ইউ কিউ টিন বাংলাদেশের বক্তব্যের প্রতিবাদে বলেন, রাখাইন ইস্যুটি কোনো জাতিগত গোষ্ঠীকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা নয়, এ ব্যাপারে ভুলভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।

বাকুতে নিরপেক্ষ আন্দোলনের (এনএএম) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন, বিশ্ব যদি রোহিঙ্গা সংকটের পুনরাবৃত্তি দেখতে না চায়, তবে যারা গণহত্যা চালিয়েছে অবশ্যই সেসব অপরাধীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেকসই প্রত্যাবাসনের দায়বদ্ধতা এড়াতে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। মিয়ানমার অনর্থক অভিযোগ করে বিভ্রান্ত করেই চলেছে। এমনভাবে বিষয়টি প্রচার করছে, যা হতাশার বিষয়। নিরাপদ ও মর্যাদায় জোর করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের পুনরায় ফেরত পাঠাতে বাধা সৃষ্টি করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী ইউ কিউ টিনের এ জাতীয় প্রচেষ্টা লক্ষ্য করেছে। মিয়ানমারের মন্ত্রী নিরপেক্ষদের ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক মন্ত্রিসভায় রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সুপ্রতিষ্ঠিত মন্তব্যকে খণ্ডন করতে পুরো ইস্যুটির অপব্যবহার করছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের ওপর অযৌক্তিক দোষারোপ করেছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে