যে ম্যাচগুলোর জন্য নিষিদ্ধ হলেন সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাকিব আল হাসান
ফাইল ছবি

সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য সাকিব আল হাসানকে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ত্রিদেশীয় সিরিজ ও আইপিএলের ম্যাচের আগে জুয়াড়ির কাছ থেকে তিন দফা ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পান সাকিব। যদিও প্রস্তাব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরাসরি প্রত্যাখান করেন। কিন্তু বিষয়টি তিনি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (এসিইউ)-কে জানাননি।

নিয়ম অনুযায়ী যে ম্যাচকে সামনে রেখে এই ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয় সেই ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে জানাতে হয়। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব সেটা করেননি। সে কারণেই তার উপর নেমে এসেছে এই নিষেধাজ্ঞা।

universel cardiac hospital

চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন সিরিজ ও ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে।

১. গেল বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং আইপিএলের ম্যাচে জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর তিন দফা প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু সেটা তিনি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে জানাননি। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি ম্যাচ পাতানোর প্রথম প্রস্তাব পান।

২. বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজের পরবর্তী ম্যাচের আগেও তার সঙ্গে ম্যাচ পাতানোর বিষয়ে যোগাযোগ করে জুয়াড়িরা। এবার তাকে মোবাইলে না পেয়ে হোয়াটস-অ্যাপেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। যদিও যোগাযোগ করতে পারেনি। এই বিষয়টিও সাকিব দুর্নীতি দমন ইউনিটকে জানাননি।

৩. সবশেষ ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে খেলার সময় ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পান। যদিও তিনি সাড়া দেননি। কিন্তু বিষয়টি তিনি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকেও জানাননি।

সাকিব আল হাসানের মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অবশ্যই আইসিসির আচরণবিধি সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখেন। তারপরও কেন তিনি ৩ দফায় এমন অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েও আসিসিসিকে জানাননি। সে কারণেই মূলত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আইসিসির ২.৪.৪ ধারায় শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে