ড্যাপের আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হচ্ছে চলতি বছরে

ডেস্ক রিপোর্ট

ড্যাপের আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হচ্ছে চলতি বছরে

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) রাজধানী ঢাকাকে বিশ্বের আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। সেই লক্ষ্যে ঢাকাকে বাসযোগ্য এবং আরও উন্নত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে প্রক্রিয়াধীন ড্যাপের মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মকৌশল যুক্ত হচ্ছে।

রাজউকের উদ্যোগে প্রণীত ড্যাপে নতুন কর্মকৌশলের মধ্যে রয়েছে- ভূমি পুনর্বিন্যাস, উন্নয়ন স্বত্ব প্রতিস্থাপন পন্থা, ভূমি পুনঃউন্নয়ন, ট্রানজিটভিত্তিক উন্নয়ন, উন্নতিসাধন ফি, স্কুল জোনিং ও ডেনসিটি জোনিং। সংশোধিত ড্যাপের নতুন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে রাজউক আওতাধীন এলাকার বিদ্যমান চেহারা বদলে যাবে। পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর অনেক ঘিঞ্জি ও অপরিকল্পিত এলাকা নতুন করে সাজানো হবে এর মাধ্যমে।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ২০১৬ থেকে ২০৩৫ সালের জন্য প্রণীত ঢাকা মহানগর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (খসড়া) বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ঢাকাকে মোট ১১ ধরনের ভূমি ব্যবহার জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। যার পাঁচটি মিশ্র জোন। এছাড়া রয়েছে কৃষি অঞ্চল, বনাঞ্চল, উন্মুক্ত স্থান, প্রাতিষ্ঠানিক এলাকা, ভারী ও দূষণকারী শিল্প এলাকা। পরিকল্পনায় মোট জমির ৫৭ দশমিক ৯৭ শতাংশে নিয়ন্ত্রিত মিশ্র ভূমি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

জানা গেছে, ড্যাপের সংশোধন শেষে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের কোনো নির্দেশনা থাকলে সে আলোকে বাকি কাজ সম্পন্ন হবে। এরপর খসড়া ড্যাপের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সবার মতামত নিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ড্যাপের সব কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের বোঝার উপযোগী করে মাতৃভাষা বাংলায় প্রণয়ন হবে সংশোধিত ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান বা বিশদ নগর অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)। রাজউকের এক হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার জন্য ২০ বছর মেয়াদের এ পরিকল্পনা ২০৩৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ভূমি পুনঃউন্নয়নের মাধ্যমে পুরান ঘিঞ্জি জনপদকে ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে এর মাধ্যমে। সিঙ্গাপুর, জাপান, কোরিয়াসহ পৃথিবীর অনেক দেশ এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে পুরান শহরগুলোকে আধুনিক শহরে রূপ দিয়েছে।

পাঁচ বছর মেয়াদের ড্যাপ মাস্টার প্ল্যান প্রথম প্রণয়ন হয়েছিল ২০১০ সালে। ২০১৫ সালে প্রথম ড্যাপের মেয়াদকাল শেষ হয়। বর্তমানে ওই ড্যাপের সময় বৃদ্ধি করে নগরীর উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে রাজউক।

ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, সংশোধিত ড্যাপ জনবান্ধব করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করছি। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষ নতুন ড্যাপের মহাপরিকল্পনাটি যেন স্বাচ্ছন্দ্যে ও ভালোভাবে বুঝতে পারেন সে কারণে ড্যাপ বাংলায় প্রণয়ন হচ্ছে।

ড্যাপের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ড্যাপের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বুয়েট ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোর বিভিন্ন মতামত যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এর মধ্যে যৌক্তিক দাবিগুলো সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধন শেষে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের কোনো নির্দেশনা থাকলে সে আলোকে বাকি কাজ সম্পন্ন হবে। এরপর খসড়া ড্যাপের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

চলতি বছরের মধ্যে আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে