যুদ্ধাপরাধের দায়ে আপিল বিভাগেও মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করা হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। আপিল বেঞ্চেও জামায়াত নেতার ফাঁসির দণ্ড বহালের রায় দেওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় রিভিউ আবেদন করার কথা জানান খন্দকার মাহবুব।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ জামায়াতের এই নেতার ফাঁসির রায় বহাল রাখেন। বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান।
আপিলের রায়েও রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা ও হত্যার তিন ঘটনায় তার মৃত্যুদণ্ড সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের মতের ভিত্তিতে বহাল থাকে। রায় ঘোষণার পরই আসামিপক্ষের আইনজীবী সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া দেন।
খন্দকার মাহবুব জানান, আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর আমরা সেটি দেখে ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ করব। রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আজহারে ফাঁসি কার্যকর করা যাবে না বলে জানান তিনি।
আজহারের আইনজীবী বলেন, আইনের বিধান অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড দেয়া সঠিক হয়েছে কি-না সেটাই আমরা রিভিউ আবেদনের মাধ্যমে আদালতে তুলে ধরব। তার সাজা বহাল থাকবে কি-না, যারা রিভিউ শুনবেন তাদের ওপর নির্ভর করবে।
গত ১০ জুলাই এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে সিএভি (রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ) রাখেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। ১৮ জুন আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন।
আলবদর বাহিনীর রংপুর শাখার এই কমান্ডারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ ছয়টি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। আর পাঁচ নম্বর অভিযোগে ২৫ বছর জেল ও ছয় নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছরের জেল দেওয়া হয়। এছাড়া এক নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রায়ে উল্লেখ করেছিল ট্রাইব্যুনাল।