বিটিআরসির পাওনা: দুই সপ্তাহ সময় নিল গ্রামীণফোন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিটিআরসি- গ্রামীণফোন
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দাবি করা প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে এখন কত টাকা দিতে পারবে, তা জানাতে আরও দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন।

গ্রামীণফোনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

universel cardiac hospital

আদালতে আজ গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

এর আগে গত ২৪ অক্টোবর আপিল বিভাগ বলেছিলেন, দাবি করা টাকার মধ্যে এখন কত টাকা দিতে পারবে তা ৩১ অক্টোবরের মধ্যে গ্রামীণফোনের ইনস্ট্রাকশন (নির্দেশনা) নিয়ে আইনজীবীদের আদালতকে জানাতে হবে।

তার আগে ১৭ অক্টোবর পাওনা আদায়ে দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি নোটিশের ওপর হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের বেঞ্চ গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসি প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি আদায়ের ওপর দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। গ্রামীণফোনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞাসহ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে আগামী ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

পরে গ্রামীণফোনের কাছে প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি আদায়ের ওপর হাইকোর্টের দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি আপিল আবেদন করেন।

১৭ অক্টোবর গ্রামীণফোনের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন বলেছিলেন, ‘চলতি বছরের ২ এপ্রিল বিভিন্ন খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করে বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে চিঠি দেয়। পরে গ্রামীণফোন ওই চিঠির বিষয়ে নিম্ন আদালতে টাইটেল স্যুট (মামলা) করে। একই সঙ্গে ওই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত গ্রামীণফোনের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে