বাজারে মনিটরিং করে পেঁয়াজের দাম শতভাগ কমানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, পেঁয়াজের দাম না কমার জন্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দায়ী। বাজারে সরকারের ১০টি মনিটরিং টিম কাজ করছে। কিন্তু মনিটরিং করে পেঁয়াজের দাম কমিয়ে আনা সম্ভব নয়। কারণ এতো জনবল নেই।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনদিনব্যাপী ‘লেদারটেক বাংলাদেশ-২০১৯’ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
অভ্যন্তরীণ ঘাটতি মেটানোর কারণ দেখিয়ে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। দেশটির এমন সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের বাজারে। কেজি প্রতি ৫০ টাকার পেঁয়াজের দাম চড়তে চড়তে এখন ১২৫ টাকা হয়েছে।
তবে মিয়ানমার ও মিশর থেকে আমদানি অব্যাহত থাকা আর দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ মিলে বাজারে কোনো ঘাটতি না থাকলেও দাম নিয়ে নিত্যপণ্যটির ওপর কোনো নিয়ন্ত্রন নেই। তার মধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা টিসিবি ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। তবে চাহিদার তুলনায় সেটি একেবারেই নগন্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিল। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেঁয়েছে। এবার আমাদের শিক্ষা হয়েছে। পেঁয়াজ উপাৎদনে আমাদের সয়ংসম্পূর্ণ করবো। যে ৬ থেকে ৮ লাখ টন ঘাটতি সেটা উৎপাদন করতে পারলে আমাদের সমস্যা থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যখন পেঁয়াজ উঠে কৃষক তখন দাম পায় না। তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। উৎপাদনের সময় যেন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকে এ ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। উৎপাদনের সময় কৃষক যদি প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি করতে পারে তাহলে তারা পরবর্তিতে পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত হবে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘পেঁয়াজ উৎপাদনের সময় কৃষককে ভাল দাম দিতে হবে। তাহলে তারা বেশি করে চাষে উৎসাহিত হবে। অন্ততপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি যেন তারা বিক্রি করতে পারে।’
মিশর থেকে ৬০ হাজার টন আসছে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এরইমধ্যে ১০ হাজার টন আসার পথে। আরও ৫০ হাজার টন দুই একদিনের মধ্যে আসবে।’
‘এতো দূর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে ব্যবসায়ীদের মাইন্ড সেটআপ করতেও একটু সময় লেগেছে। তাই ধীরে ধীরে পেঁয়াজের বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে।’
এক সময় চালে আমাদের ঘাটতি ছিল উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, ‘এখন আমরা চাল রপ্তানি করছি। আলু আমাদের চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন হচ্ছে। পেঁয়াজও আমাদের চাহিদা মতো উৎপাদন করতে পারবো।’