সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছেন কেন্দ্রীয় নেতাসহ সিলেট বিএনপির একাংশ। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে নগরের কুমারপাড়া এলাকায় সভা করেছেন বিক্ষুব্ধরা। সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, কার্যনির্বাহী সদস্য এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও যুবদলের অবমূল্যায়িত ত্যাগী নেতাকর্মীরা দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে তাদেরকে থামিয়ে দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় তিন নেতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেন তারাই দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করবেন এবং শনিবার দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠাবেন। পরবর্তীতে সভায় উপস্থিত থাকা বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতারাও গণপদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে সভায় উপস্থিত থাকা সিলেট জেলা যুবদলের সদ্য সাবেক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, শুক্রবার সিলেট জেলা ও মহানগরের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে এতে দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতি করা কেউ ঠাঁই পাননি। ঠাঁই পেয়েছেন বিশেষ একজন কেন্দ্রীয় নেতার অনুসারীরা। তাই রাতেই তারা সিলেটে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিন কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, আরিফুল হক চৌধুরী ও ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, অতীতে সিলেটে বিএনপির যে কোনো অঙ্গসংগঠনের কমিটি করা হলে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে করা হতো। কিন্তু এবারের কমিটির ব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ হক, তাহসিনা রুশদী লুনাসহ কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।