ই-পাসপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ই-পাসপোর্ট চালুর সুনির্দিষ্ট তারিখ আমরা এখনও দেইনি। আজ রোববার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
কয়েক দফা তারিখ ঘোষণা করলেও ই-পাসপোর্ট চালু করতে ব্যর্থ হয় সরকার। সর্বশেষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন গত ৩১ অক্টোবর জানিয়েছেন, আগামী ২৮ নভেম্বর ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার বিষয়টি আপনি জানেন কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন, কাজটি আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের, এই ধরনের সুনির্দিষ্ট তারিখ আমরাই দিতে পারি কিন্তু আমরা এখনও সুনির্দিষ্ট তারিখটি দেইনি।’
জার্মানির প্রতিষ্ঠানটির আগেরই ই-পাসপোর্ট দেয়ার কথা থাকলেও সেটা তারা দিতে পারেনি। কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভেরিডোজ জার্মানির কোম্পানি, আমাদের এমআরপির (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করতে হলে এমআরপির যে কোম্পানিটি ছিল আইরিশ, আইরিশের সঙ্গে ভেরিডোর চুক্তিপত্র হয়েছে, এই কাজটি হচ্ছে। শিগগিরই এই কাজটি সুস্পন্ন হয়ে যাবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জার্মানির কোম্পানিটির কিছু অসুবিধা ছিল, তার সবগুলোই সুসস্পন্ন করেছে। আমাদের জানিয়েছে, তারা এখন যেভাবে এগোচ্ছে সেভাবে এগোলে ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে পারবে। আমি মনে করি, তারা আরেকটু এগোলে আমরা সুনির্দিষ্ট ডেট দেব। এজন্য ডেটটা আমরা দেইনি।’
এর আগে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আড়াই কোটির ওপরে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ইস্যু করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ই-পাসপোর্টে যাচ্ছি, আমরা খুব শিগগিরই ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু করব। জার্মানির কোম্পানি সারাক্ষণই কাজ করে যাচ্ছে। উত্তরায় আমরা তাদের জন্য নির্ধারিত জায়গা করে দিয়েছি, সেখানে কাজ হচ্ছে। আমরা এই বছরের শেষে যেকোনো দিন হয়তো উদ্বোধন করতে পারব। যদি না আকস্মিক কোনো অসুবিধা না আসে।’
বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপে বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।