বিএনপির সিলেটের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের ‘আকস্মিক আহ্বায়ক কমিটি’ ঘোষণা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে গত শুক্রবার রাতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী। ।
এরপর তারা আজ রোববার পদত্যাগপত্র দিলেও তা গ্রহণ করেননি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সকালে দলীয় চেয়ারপারসনের গুলাশান কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিতে যান তারা।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে বলেন, সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে তিনি অবগত আছেন। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন ফখরুল।
পরে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পদত্যাগ করতে রোববার সশরীরে ঢাকায় গিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় মহাসচিবের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছি। তিনি গ্রহণ না করে বলেছেন বিষয়টি দেখবেন।
প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর সিলেটে জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটি গঠনের পরপরই স্থানীয় যুবদল ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে নগরের কুমারপাড়া এলাকায় সভা করেন তারা। সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। ওই সভা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সভায় বিএনপি ও যুবদলের অবমূল্যায়িত নেতাকর্মীরা দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে তাদের থামিয়ে দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এক পর্যায়ে আব্দুর রাজ্জাক, মেয়র আরিফুল ও ডা. শাহরিয়ার হোসেন সিদ্ধান্ত নেন তারা নিজেরাই দলের কেন্দ্রীয় পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।
বৈঠকে উপস্থিত সিলেট জেলা যুবদলের সদ্য সাবেক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, শুক্রবার সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের যে কমিটি গঠন হয়েছে তাতে দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতি করা কেউ ঠাঁই পাননি। ঠাঁই পেয়েছেন বিশেষ একজন কেন্দ্রীয় নেতার অনুসারীরা। এর প্রেক্ষিতে বিএনপির তিন কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, আরিফুল হক চৌধুরী ও ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী দলের পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন।