‘বাংলাদেশে যেন আর খুনিদের রাজত্ব না হয়। যারা খুনি, সন্ত্রাসী, মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী তাদের হাতে যেন ক্ষমতা না যায়।’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশ উন্নয়নের যে গতিতে চলছে সে গতি যেন অব্যাহত থাকে। জনগণকে সে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছে বলেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানসহ সব ব্যবস্থা আমরা করছি। ২০০৮-১৯ পর্যন্ত মানুষ সত্যিকারের স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। ৪১ সালে এ দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে সে লক্ষ্যে কাজ করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট যখন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তখন অনেকে ভেবেছে পরিবারকে নিঃশেষ করার জন্যই এ হত্যাকাণ্ড। কিন্তু ৩ নভেম্বর যখন জেলখানায় চার নেতাকে হত্যা তরা হলো তখন বাংলার মানুষ পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছিল এটা স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত শক্তির কাজ।
সভায় অন্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিাডয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিক্ষাবিদ আনিসুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।