বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। পাসপোর্ট না থাকায় সাদেক হোসেন খোকার মৃতদেহ ট্রাভেল পারমিট নিয়ে দেশে ফেরত আনা হবে।
পাসপোর্ট না থাকায় গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরেই খোকার দেশে ফিরে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়ে খোকার পাসপোর্ট ইস্যুর আবেদন জানানো হয়।
তবে গতকাল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানান, সাদেক হোসেন খোকা তাঁর স্ত্রীসহ ‘ট্রাভেল পারমিট’ নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। ট্রাভেল পারমিটের জন্য আবেদন করা হলে বাংলাদেশ মিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
রবিবার এক ফেসবুক বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেছেন, খোকা দেশে ফিরলে বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবে সরকার।
সাদেক হোসেন খোকা তাঁর স্ত্রীসহ ‘ট্রাভেল পারমিট’ নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানান মো. শাহরিয়ার আলম। ট্রাভেল পারমিটের জন্য আবেদন করা হলে বাংলাদেশ মিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক বার্তায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, “নিউ ইয়র্কে সাদেক হোসেন খোকার পরিবার ‘ট্রাভেল পারমিট’-এর জন্য আবেদন করলে আমাদের মিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি এবং তাঁর স্ত্রীর যেহেতু পাসপোর্ট নেই, সেহেতু আন্তর্জাতিকভাবে অন্য দেশ থেকে নিজের দেশে ফেরার এটিই একমাত্র ব্যবস্থা। আমি আমাদের নিউ ইয়র্কের কনস্যুলেটে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি।”
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘তিনি (সাদেক হোসেন খোকা) এবং তাঁর স্ত্রীর নামে মামলা আছে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানাও থাকতে পারে (আমি নিশ্চিত নই); কিন্তু মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে যা জেনেছি, তাঁদের আগমনের পর বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হবে।’
অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
খোকা ২০১৪ সালের ১৪ মে সপরিবারে চিকিৎসার জন্য পর্যটক ভিসায় নিউ ইয়র্কে যান। ২০১৭ সালে খোকা ও তাঁর স্ত্রী ইসমত হোসেনের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাঁরা পাসপোর্টের জন্য নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এরপর তাঁরা পাসপোর্ট ফেরত পাননি।