বোলারদেরই সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দিলেন মাহমুদউল্লাহ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ । ফাইল ছবি

১৯তম ওভারের শেষ চার বলে টানা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচটা নিজেদের দখলে নিয়ে আসেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। আর শেষ ওভারে বাকি থাকা ৪ রানের বিপরীতে, তৃতীয় বলে দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয়টা নিশ্চিত করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ১০ বলে ২০ রান। আগের বলে ১ রান নেয়ায় ধারাভাষ্যকার বললেন, এতে খুশি হবে দুই দলই। তবে পরের চার বলে যা হয়েছে, তাতে উল্লসিত হয়েছে কেবল বাংলাদেশেরই ড্রেসিংরুম। কেননা টানা ৪টি চার মেরে সমীকরণটা ৬ বলে ৪ রানে নামিয়ে আনেন মুশফিক।

আর শেষ ওভারে বাকি কাজটুকু সারেন মাহমুদউল্লাহ। যার সুবাদে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। অথচ এ জয়টি আসতে পারতো ২০১৬ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে।

ভারতেরই ব্যাঙ্গালুরুতে হওয়া সেই ম্যাচে একপর্যায়ে সমীকরণ ছিলো বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ৩ বলে ২ রান; কিন্তু পরপর দুই বলে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ আউট হয়ে গেলে সেই ম্যাচে ১ রানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ।

নিয়তির কী খেল! প্রায় সাড়ে তিন বছর পর ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয়টিতে প্রত্যক্ষ অবদান রাখলেন সেই মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহই। তবে ম্যাচের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ অবশ্য মানছেন, জয়ের ভিতটা গড়া হয়েছিল ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই।

আসলেই তাই। কেননা দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে গড়পড়তা ১৬০ রান হয়ে থাকে যে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। সেখানে ইনিংসের শেষ দুই ওভারে ৩০ রান খরচার পরেও ভারতকে ১৪৮ রানে আটকে ফেলে বাংলাদেশ। যা প্রমাণ দেয় বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের।

ম্যাচ শেষে এ কথাই বলেছেন টাইগার অধিনায়ক। তার ভাষ্য, ‘আমার মতে, জয়ের ভিতটা গড়া হয়েছিল ম্যাচের শুরুতেই। বোলাররা দুর্দান্ত করেছে। সবাই নিজেদের জায়গা থেকে সেরাটা দিয়েছে। আমাদের ফিল্ডিংটাও ভালো হয়েছে। যা ব্যাটিংয়ের সময় আমাদের অনেক সাহায্য করেছে।’

বোলাররা দারুণ করলেও একটি প্রশ্ন থেকেই গিয়েছিল বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসের ব্যাপারে। সেটি হলো দলের সেরা বোলার মোস্তাফিজকে কেনো মাত্র ২ ওভার বোলিং করানো হলো? এর পেছনে পরিকল্পনাটাই বা কী ছিল?

অধিনায়ক মাহমুদউল্লা সুস্পষ্ট জবাব দেন এ প্রশ্নেরও। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ছেলেরা দুর্দান্ত পারফর্ম করায় অধিনায়কত্ব করাটা সহজ হয়েছে। আমি জানি মোস্তাফিজ আমাদের সেরা বোলার। তবে কন্ডিশন বিবেচনায় অন্য বোলারদের ব্যবহার করতে হয়েছে।’

এ সময় মুশফিকসহ সৌম্য সরকার ও অভিষিক্ত নাইম শেখকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি টাইগার অধিনায়ক।

তিনি বলেন, ‘মুশফিক সত্যিই দারুণ খেলেছে। সৌম্যর সঙ্গে জুটিটাও অসাধারণ ছিলো। আমি মনে করি, নাইম শেখের কথাও বলা উচিৎ। নিজের অভিষেক ম্যাচে দারুণ খেলেছে নাইম।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে