মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার নিয়ে দীর্ঘদিনের জট খুলতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক তৎপরতার সুফল এই ৬ নভেম্বরের বৈঠক। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের প্রত্যাশা এই বৈঠকেই চূড়ান্ত হোক শ্রম-বাজার সংশ্লিষ্ট সব সিদ্ধান্ত।
গত এক বছরে মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এই শ্রম-বাজার উন্মুক্ত করতে কয়েক দফা মালয়েশিয়া সফর করেন এবং গঠন করে দেন জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল। মালয়েশিয়া সরকারের মানবসম্পদ মন্ত্রী কুলাসেগারান বিভিন্ন সময় দেয়া তার বিবৃতিতে বার বার মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু বাংলাদেশি শ্রমিকদের অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়ের কথা উল্লেখ করেছেন।
অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির রিপোর্টে কিছু সুপারিশ উঠে এসেছে যা আসছে ৬ নভেম্বরের বৈঠকে চূড়ান্ত আলোচনা করা হবে বলে একধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মালয়েশিয়া সরকারের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের, তিনি বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য এই শ্রম-বাজার উন্মুক্তকরণে তার সরকারের আন্তরিকতার কথা জানান।
তিনি জানান, অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে মুখ্য ভূমিকা বাংলাদেশ সরকারকেই পালন করতে হবে। কারণ অভিবাসনপ্রত্যাশী শ্রমিক তার অভিবাসন ব্যয়ের সমুদয় অর্থ বাংলাদেশেই প্রদান করে থাকে। তাই আগামী বৈঠকে এই ব্যয় নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সুপারিশগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
৬ নভেম্বর মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রী ইমরান আহমেদের নেতৃত্বে যাচ্ছে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। যেখানে রয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহিন, যুগ্ম সচিব মো. ফজলুল করিম, প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মো. আজিজুর রহমান এবং বিএমইটি’র পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম।
জনশক্তি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা মন্ত্রী ইমরান আহমেদ পুত্রজায়ার বৈঠকে বায়রার সাধারণ সদস্যের স্বার্থের কথা চিন্তা করে সিন্ডিকেটের বিপক্ষে তার অবস্থান সুস্পষ্ট করবেন।
আরেক ব্যবসায়ী আবারো সিন্ডিকেট সিস্টেমের আশংকা প্রকাশ করে বলেন, মন্ত্রী ইমরান আহমেদ অথবা বাংলাদেশ সরকারের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অফিসিয়ালি এখনো মালয়েশিয়া সরকারকে সিন্ডিকেটের বিপক্ষে কোনো চিঠি দেয়নি যা একটি বড় ধরনের ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।