ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আগামী ডিসেম্বর দলের ২১তম সম্মেলনে গঠনতন্ত্র সংশোধনের বিষয়ে তৃণমূলের নেতাদের সুপারিশ ও মতামত নিতে চিঠি দিয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তাদের সুপারিশ ও মতামত লিখিত আকারে কেন্দ্রে পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত গঠনতন্ত্র উপকমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান কমিটির আহ্বায়ক ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক।
খাদ্যমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, গঠনতন্ত্র সংশোধনের বিষয়ে আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একটি চিঠি দিয়েছি। গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য তাদের যদি কোনো সুপারিশ ও মতামত থাকে তারা দিতে পারবেন। এছাড়াও কোনো পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের বিষয় থাকলেও তারা সেই সুপারিশ দিতে পারবেন। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তা চেয়েছি। তাছাড়াও আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদেরও বলেছি তাদের অবস্থান থেকে কোনো সুপারিশ দিতে চান সেটাও দিতে পারবেন।
রাজ্জাক বলেন, আমাদের গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য সুপারিশ আকারে কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে এটা চূড়ান্ত হবে। কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা বলতে পারি না যে আমাদের এই সংশোধনী চূড়ান্ত।
তিনি বলেন, ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে সংগঠনের ইতিহাস, অর্জন এবং অবদান তুলে ধরা হয় এবং আগামী দিনে তারা দেশ ও জাতির জন্য কী করবে সেগুলো ঘোষণাপত্রে একটা দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। ২০তম সম্মেলনে আমরা একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী ইশতেহারে কী থাকবে সেটা দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। ঘোষণাপত্রের আলোকে ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার আমাদের সভানেত্রী শেখ হাসিনা জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন। আগামী সম্মেলনকে আমাদের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রকে আরও বেশি আধুনিক ও যুগোপযোগী করা এবং সংগঠনকে আরও সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, গঠনতন্ত্র উপ-কমিটির প্রথম বৈঠকে উপস্থিত সদস্যরা অনেকগুলো সংশোধনী এনেছেন তা অবশ্যই বিবেচনার যোগ্য। তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি, আমরা বলেছি এগুলো লিখিত আকারে দেয়ার জন্য। লিখিত আকারে এলে পরবর্তী বৈঠকে আমরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে পারব।
জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের আকার বাড়ার সম্ভাবনা কম বলে জানান আবদুর রাজ্জাক। বলেন, এটা নিয়ে আলোচনা চলছে, প্রস্তাবনাও এসেছে। সেটা এই মুহূর্তে বলা যাবে না।
বৈঠক কমিটির সদস্য সচিব আফজাল হোসেনসহ আরও উপস্থিত ছিলেন ফারুক খান, আব্দুল মতিন খসরু, মশিউর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিপ্লব বড়ুয়া, রিয়াজুল কবির কাওছার, আজমত উল্লাহ খান প্রমুখ।