নিউইয়র্কে সাদেক হোসেন খোকার প্রথম জানাজা সম্পন্ন

ডেস্ক রিপোর্ট

সাদেক হোসেন খোকা

অবিভক্ত ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার প্রথম জানাজা নিউইয়র্কের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার বাদ এশা জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি নেতাকর্মীসহ অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন।

জানাজার প্রাক্কালে সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমেই আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের ভালবাসা ও সমর্থনের কারণেই আজকে উনাকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। আর এটাই ছিল উনার শেষ ইচ্ছা।’

খোকাপুত্র বলেন, ‘আমার বাবা যখন প্রথম এখানে (নিউইয়র্কে) এসেছিলেন, তখন থেকেই উনি চতুর্থ ধাপের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী ছিলেন। এখানে আসার পর আপনারা বাংলাদেশ কমিউনিটি যে সমর্থন দিয়েছেন, আমি ছেলে হিসেবেও সেই কাজগুলো উনার জন্য করতে পারিনি, উনার পাশে সবসময় থাকতে পারিনি। আজকে এই কৃতজ্ঞতা আমাকে প্রকাশ করতেই হবে।’

এ সময় বাংলাদেশ কনস্যুলেটকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বাবার মৃত্যুর পরে হলেও, পাসপোর্ট না হলেও দেশে নেওয়ার জন্য ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করতে সব ধরনের সহযোগিতা করেছে। উনার দাফন বাংলাদেশেই হবে। আমার মা উনিও ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করতে পেরেছেন।’

জানাজার আগে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধারা তার প্রতি সম্মান জানান।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোন ক্যাটারিং ক্যানসার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাদেক হোসেন খোকা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

কিডনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৪ সালের মে মাসে চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্কে যান মুক্তিযুদ্ধের এই গেরিলা যোদ্ধা। এরপর থেকে গত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে থাকছিলেন নিউইয়র্ক সিটির ইস্ট এলমহার্স্ট এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। সার্বক্ষণিক তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ইসমত হোসেন।

গত ১৮ অক্টোবর মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় খোকাকে ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে গত এক সপ্তাহ তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন। চিকিৎসকেরা সাদেক হোসেন খোকার সুস্থ হয়ে ওঠার সবরকম আশা ছেড়ে দেন। ১৮ দিনের মতো ভর্তি থাকার পর না ফেরার দেশে চলে যান অবিভক্ত ঢাকা সিটির সাবেক এই মেয়র। ‍

আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছবে খোকার মরদেহ। ওই ফ্লাইটে খোকার পরিবারের সদস্যরাও ঢাকায় আসবেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে