ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কাউন্সিলর শূন্য ৩২ ও ৩৩ নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব পেয়েছেন পার্শ্ববর্তী ২৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম রতন।
সম্প্রতি এই দুটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে রতনকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে কাউন্সিলর রতন বলেন, সোমবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এ দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাকে একত্রে তিনটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়ায় মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা পূরণ করতে আমি শতভাগ চেষ্টা করে যাব।
দায়িত্ব পেয়ে তিনটি ওয়ার্ডকে একত্রিত করে কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন এই জনপ্রতিনিধি। তিনি বলেন, আমি এই তিন ওয়ার্ড নিয়ে মাস্টার প্লান করে কাজ করব। আমারটা সহ সবগুলো ওয়ার্ডের সব সেক্টরেই লোক আছে। এছাড়া আউট সোর্সের লোকও আছে। আমি তিনটি ওয়ার্ডেকে এক করে ফেলছি। প্রতি ওয়ার্ডে দুইদিন করে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম করব। তিন ওয়ার্ডে ৭০ জন লোক পাচ্ছি। এদের নিয়ে আমি সপ্তাহে একদিন মশক নিধনে কাজ করব। আমার ওয়ার্ডে মেশিন আছে, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে আছে। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রয়োজনের তুলনায় কম আছে। সব মেশিন একত্রে নিয়ে কাজ করব।
এছাড়া তিন ওয়ার্ডের নাগরিকদের সকল ধরনের সুবিধা-অসুবিধার নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার হন ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবীবুর রহমান মিজান। তিনি গত ২৫ বছর ধরে মোহাম্মদপুরের এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্বে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
অপরদিকে অস্ত্র ও মাদকসহ র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর বর্তমানে ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব। তিনি গ্রেপ্তারের পরে কাউন্সিলর শূন্য হয় এই ওয়ার্ডটি৷
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষ থেকে করপোরেশনে অনুপস্থিত থাকার কারণে যে ১৪ জন কাউন্সিলরকে শোকজ করা হয়েছে তার মধ্যে সদ্য ৩ ওয়ার্ডের দায়িত্ব পাওয়া নুরুল ইসলাম রতন একজন। করপোরেশনের ১২টি সভার ৬টিতেই অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।