রিফাত হত্যা মামলা একটি সেনসিটিভ ইস্যু: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিফাত হত্যা
ফাইল ছবি

বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেফতার রাফিউল ইসলাম রাব্বিসহ দুই আসামির জামিন দেননি হাইকোর্ট। তাদের জামিন আবেদন কার্যতালিকা (কজলিস্ট) থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত। মামলায় জামিন না পাওয়া চার্জশিটভুক্ত ৮ নম্বর আসামি হলেন কিশোর নাজমুল হাসান। অপরজন হলেন রাফিউল ইসলাম।

জামিনের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেন, বরগুনার রিফাত হত্যা মামলা একটি সেনসিটিভ ইস্যু (স্পর্শকারতর বিষয়), তাই আপাতত এ মামলায় জামিন আবেদন শুনতে চাচ্ছি না।

universel cardiac hospital

আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে কিশোর আসামি নাজমুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ছগির হোসেন। রাফিউল ইসলাম রাব্বির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাহাঙ্গীর কবির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ড. বশির উল্লাহ বলেন, জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে আবেদন দুটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

অ্যাডভোকেট মো. ছগির হোসেন বলেন, আদালত জামিন আবেদন শুনানি না করে বলেছেন, ‘রিফাত হত্যা মামলা একটি সেনসিটিভ ইস্যু, তাই আপাতত এ মামলায় জামিন আবেদন শুনতে চাচ্ছি না।’ পরে জামিন আবেদনটি কজলিস্ট থেকে বাদ দেন আদালত।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর রিফাত হত্যার ঘটনায় চার্জশিটভুক্ত আসামির পক্ষে করা জামিন আবেদন অধিকতর শুনানির জন্য রাখেন হাইকোর্ট। তার ধারাবাহিকতায় আজ মামলাটি শুনানির জন্য ছিল।

মামলার চার্জশিটভুক্ত ছয় কিশোর আসামির মধ্যে নাজমুল হাসান একজন বলে জানান আইনজীবী মো. ছগির হোসেন। এর আগে বরগুনায় গত ১৫ অক্টোবর আসামি নাজমুল হাসানের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন বরগুনার আদালত। ওই আদেশের বিরুদ্ধে জামিন চেয়ে গত ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টে আবেদন করেন তার আইনজীবী।

তিনি বলেন, আসামি স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। তার বয়স ১৪ বছর। সে শিশু। এসব যুক্তিতে জামিন আবেদনটি করা হয়।

গত ৫ জুলাই স্কুলে যাওয়ার পথে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে সে যশোর শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়।

গত ২৯ আগস্ট আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে দুই শর্তে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। জামিনে থাকা মিন্নি বর্তমানে তার বাবার জিম্মায় রয়েছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে