বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও পার্লামেন্টারিয়ান বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপ্রতি ও প্রধানমন্ত্রী মঈন উদ্দীন খান বাদলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয় চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদলের।
দুই বছর আগে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন মঈন উদ্দীন খান বাদল। হার্টেরও সমস্যা ছিল। দুই সপ্তাহ আগে নিয়মিত চেকআপের জন্য তাকে ভারতে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়েছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের-(জাসদ) একাংশের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন মঈন উদ্দীন খান বাদল।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেয়া মঈন উদ্দীন খান বাদল বোয়ালখালী উপজেলা জাসদের সভাপতি ছিলেন।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসন থেকে তিনি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদে অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে খ্যাতি ছিল তার।
ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা বাদল একাত্তরের রণাঙ্গনে জীবনবাজি রেখে লড়েছেন দেশমাতৃকার জন্য। বাঙালিদের ওপর আক্রমণের জন্য পাকিস্তান থেকে আনা অস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে খালাসের সময় প্রতিরোধের অন্যতম নেতৃত্বদাতা ছিলেন এ বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- আরও পড়ুন >> না ফেরার দেশে চলে গেলেন এমপি মঈন উদ্দীন খান বাদল
মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে বাদল সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। জাসদ, বাসদ হয়ে পুনরায় জাসদে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল গঠনেও বাদলের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। সংসদেও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিল তার। প্রতিটি সংসদ অধিবেশনেই থাকত তার সপ্রতিভ ক্ষুরধার বক্তব্য।