টেকনাফের শাপলাপুর রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তারা ক্যাম্প এলাকায় যান।
ক্যাম্প পরিদর্ন শেষে তারা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কর্মকর্তা (আরআরআরসি) মো. মাহবুব আলম তালুকদারের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এসময় ইউএনসিআর’র বাংলাদেশ প্রধান স্টিভ তাদের সঙ্গে ছিলেন।
বিশ্বস্থ সূত্র জানিয়েছে, সকালে তারা বিমানবন্দরে পৌঁছালে কক্সবাজারের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা তাদের স্বাগত জানান। তারা কক্সবাজারে জেলা প্রশাসন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক বেসরকারি (আইএনজিও) সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন।
সূত্রমতে, ইউএস এইডের ডেপুটি ডিরেক্টরের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের সঙ্গে রয়েছেন। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস ও রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার ও ইউএস এইডের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মানবিক সাহায্য, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগোষ্ঠী, ভাসানচরে শরনার্থী স্থানান্তরসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন বলেও উল্লেখ করেছে সূত্রটি।
২০১৭ সালের আগস্টের পর বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মানবিক সহায়তা দিতে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরই ধারাবাহিকতায় তারা এলিস ওয়েলস ও রবার্ট মিলারের ক্যাম্প পরিদর্শনে আসা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
- আরও পড়ুন >> বিএনপি ছাড়লেন মাহবুবুর রহমান
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। আর আগে ১৯৯২ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আশ্রয় নিয়েছে আরও প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে অবস্থান করছে। তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করাতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যহত রেখেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের বন্ধুপ্রতীম নানা দেশকে সঙ্গে নিয়ে সফল প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রচেষ্টা চলছে। এটি সময়সাপেক্ষ হওয়ায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্য থেকে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করার উদ্যোগ চলছে। সেখানে আবাসনসহ নানা সুযোগ -সুবিধা তৈরি করা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার জানানো হচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা প্ররোচনায় পড়ে ভাসানচরে যেতে অনিহা প্রকাশ করে আসছে। এসব বিষয় সম্পর্কে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস ও রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার ও ইউএস এইডের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।