বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ প্রভাবে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন প্রায় ১২ শতাধিক পর্যটক।
জানা যায়, বৈরী আবহাওয়া ৪নং সতর্ক সংকেত থাকায় শুত্রুবার সকালে টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিন যায়নি। ফলে পর্যটকরা ফিরতে পারছেন না। তবে তারা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের থাকার ব্যবস্থাতে বিশেষ ছাড়ের নির্দেশ রয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে নৌযান চলাচলের এ নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বৃহস্পতিবার সকালে আটকাপড়া পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ কারণে সাগর উত্তাল। জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ভ্রমণে আসা প্রায় ১২০০ পর্যটক দ্বীপে রয়েছেন। তারা বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে নিরাপদে আছেন। সাগর স্বাভাবিক হয়ে গেলে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ মত ও পথকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের খাদ্যসহ কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। হোটেল মালিকদের বলে দেয়া হয়েছে যতদিন আবহাওয়া ভালো হবে না ততদিন পর্যটকদের কাছ থেকে হোটেল ভাড়া ৫০% করে নেওয়ার জন্য।
টেকনাফ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, টেকনাফ থেকে কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ, জলযান, মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়ার ফলে সর্তকতার জন্য সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজসহ জলযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। দ্বীপে হাজারের অধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন, তাদের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি ভালো হলে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেয়া হবে।