শনিবার বেলা দুইটার মধ্যে লোকজন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে স্বেচ্ছায় না গেলে তাঁদের জোর করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় এক জরুরি সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
সন্ধ্যায় উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানা শুরু করবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ব্যাপক প্রচার চালানোর পরও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার অনেকের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে অনীহা দেখা যাওয়ায় এ নির্দেশ দেন বিভাগীয় কমিশনার।
আজ দুপুর ১২টায় বরিশাল সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগীয় দুর্যোগ বিষয়ক জরুরি সভায় এই নির্দেশ দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, মানুষের জীবন রক্ষার জন্যই তাঁদের জোর করে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কারণ উপকূলীয় বেশ কিছু এলাকার মানুষ তাঁদের মালপত্র ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁরা জনগণের মালামাল হেফাজতে সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকবেন। আর উপকূলীয় এলাকা বিশেষ করে যেসব এলাকায় বাঁধ নেই, জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) সহ স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনগুলো সচেতনতামূলক কাজ করছে। তারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার কাজ করছে। আমরা চাই সবাই নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাক।’
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বরিশাল বিভাগে দুই হাজার ১১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে ১৭ লাখ ৮৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়া গৃহপালিত প্রাণীদের জন্যও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য বিভাগের ছয় জেলায় ৩১৭টি চিকিৎসক দল গঠন করা হয়েছে। বিভাগের সব জেলার সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরগুলোকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান, বরিশাল নগর পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা।