জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে তোলা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই প্রেক্ষিতে ‘উপাচার্যের দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত’ সংবলিত ৭০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন গতকাল রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. আলিম খানের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তারেক রেজা, অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান চয়ন ও অধ্যাপক ফজলুল করিম পাটোয়ারী।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষা উপমন্ত্রীর বক্তব্যে সাড়া দিয়ে আমরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগের তথ্য-উপাত্ত আমরা করেছি। আমাদের তৈরি তালিকায় উপাচার্য কর্তৃক টেক কমিটি গঠন, টেন্ডার ছিনতাই, উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিবের দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ছাত্রলীগের চাঁদার টাকা ভাগ-বাটোয়ারা, উপাচার্যের স্বামীর পিএইচডিতে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভর্তি, স্কলারশিপ প্রদান ও ডিগ্রি প্রদান করাসহ উপাচার্যের বর্তমান ও অতীতের বেশ কিছু অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।’
এদিকে জাবির ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সে অনুযায়ী আজ শনিবার বিকেল ৪টায় পটচিত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। পরে পটচিত্রটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে টানিয়ে দেওয়া হবে। এ সময় ‘উপাচার্যের দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত’ বার্তাবাহকের মাধ্যমে রাতের মধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।