ঘূর্ণিঝড় বুলবুল : প্রস্তুত নৌ বাহিনীর ১০ যুদ্ধজাহাজ, মেডিক্যাল টিম

মত ও পথ প্রতিবেদক

নৌ বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ
ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে আঘাতের পর পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে নৌবাহিনী।

আইএসপিআর-এর সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান জানান, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, সাতক্ষীরায় পাঁচটি, চট্টগ্রামে নিটি ও সেন্টমার্টিনে দুটি যুদ্ধজাহাজসহ নৌ কন্টিনজেন্ট ও মেডিক্যাল টিম মোতায়নের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, খুলনা অঞ্চলের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনায় বানৌজা কর্ণফুলী, তিস্তা, পদ্মা, এলসিভিপি ০১২ ও এলসিভিপি ০১৩ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি চারটি নৌ কন্টিনজেন্ট যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।

চট্টগ্রামে তিনটি জাহাজ বানৌজা শাহজালাল, শাহ পরান ও অতন্দ্র দ্রুততম সময়ে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলীয় এলাকায় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গমনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে বানৌজা সমুদ্র জয় ও সমুদ্র অভিযান জরুরি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছে।

রাশেদুল আলম খান বলেন, নৌবাহিনীর সার্বিক তত্ত্ববধানে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।

আইএসপিআর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুলনা নৌ অঞ্চল থেকে মোতায়েনকৃত জাহাজসমূহ বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাসমূহে ২০০০ প্যাকেট জরুরি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবে।

যার প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে সাড়ে ৭ কেজি চাল, দেড় কেজি ডাল, দেড় লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি চিড়া, এক কেজি মুড়ি, আধা কেজি গুড়, আধা কেজি বিস্কুট, ২ লিটার বিশুদ্ধ পানি, ২ ডজন মোমবাতি, ২ ডজন দিয়াশলাই বক্স এবং জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় স্যালাইন ও ঔষধ।

দুর্গত এলাকায় জরুরী চিকিৎসা সহায়তার জন্য পাঁচটি বিশেষ মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, জীবন রক্ষাকারী ঔষধ ও খাবার স্যালাইন বিতরণের কাজে নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি ৪টি নৌ কন্টিনজেন্ট যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে  সেন্টমার্টিনে নৌবাহিনীর ২টি যুদ্ধজাহাজ সমুদ্র জয় ও সমুদ্র অভিযান ২ টন চিড়া, ১ টন মুড়ি, ২ টন চাল, দেড় টন গুড়, ৫০০ কেজি ডাল, ৭০০ কেজি চিনি, ৫০০ প্যাকেট মোমবাতি, ২৫০ ডজন দিয়াশলাই নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

পাশাপাশি সেন্টমার্টিনের ফরওয়ার্ড বেসের নৌ সদস্যরা  জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ কার্য পরিচালনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুদ্ধজাহাজ ও নৌ কন্টিনজেন্ট অনুরূপ ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় নৌবাহিনী তিনস্তরের ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে