ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ প্রবল গতিতে ধেয়ে আসায় ইতিমধ্যে মহাবিপদ সংকেতের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উপকূলীয় ১৪ জেলা বড় দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। এজন্য এসব এলাকার জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শনিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানতে পারে এর আগে দুপুর দুইটার মধ্যে জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এই কথা জানান।
উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও কাজ করছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়া লোকজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে খাওয়া দাওয়ারও আয়োজন করা হয়েছে।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুপুরের মধ্যে যাতে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারি সেজন্য চেষ্টা করছি। কারণ এটা দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছে। রাত আটটার মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার লোকজন লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবারসহ সবকিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করি আমরা আল্লাহর রহমতে বুলবুলের হাত থেকে উপকূলের লোকজনকে নিরাপদে রাখতে সক্ষম হবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে আসার পর তাদের জন্য খিচুরি রান্না করে খাওয়ানো হবে। এছাড়া শুকনো খাবারও থাকবে তাদের জন্য।’
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ নিয়ে জনসাধারণকে সচেতন করতে এবং সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথা যথাযথভাবে প্রচারের জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ দেন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী।
- আরও পড়ুন >> বাবরি মসজিদ রায়: জমি পাবে রামজন্মভূমি ট্রাস্ট
আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ‘বুলবুল’ পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূল দিয়ে সমতলে আঘাত হানবে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। আর সাগরে বুলবুলের গতিবেগ আরও বেশি।