ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে প্রায় ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে পুনরায় শুরু হয় ট্রেন চলাচল।
আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়।
এতে এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছে অর্ধ শতাধিক। দুর্ঘটনার পর বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল।
কর্মকর্তারা জানান, উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথার মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে চলন্ত অবস্থায়। উদয়নকে লুপ বা সাইড লাইনে যখন পাঠানো হচ্ছিল তখন এর পেছনের তিনটি বগি মূল লাইনে থাকতেই ঢাকাগামী তূর্ণা চলে আসে এবং এ সংঘর্ষ ঘটে।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা জানান, এ পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হওয়ার ব্য্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে ৯ জন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তিনজন, বৃাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে দুইজন ও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। পরে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
- মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে প্রতারণা : রাজস্ব কর্মকর্তার ৭ বছরের জেল
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবার পাবে এক লাখ টাকা
দুর্ঘটনায় মোট পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের দুটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি, সরকারি রেল পরিদর্শকের একটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের একটি।