তূর্ণা নিশীথা ‘সংকেত না মানায়’ দুর্ঘটনার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

কসবার মন্দবাগে দুই ট্রেনে সংঘর্ষ

এক নম্বর লাইনে ঢুকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল উদয়ন এক্সপ্রেস। এজন্য বিপরীত দিক থেকে আসা তূর্ণা নিশীথাকে আউটারে থাকার জন্য সংকেত দেওয়া হয়। কিন্তু ট্রেনটির চালক সেই সংকেত অমান্য করে মূল লাইনে ঢুকে পড়ে। আর তাতেই কসবার ভয়াবহ ওই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার ভোররাত তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুই ট্রেনের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অনেকে।

universel cardiac hospital

স্টেশন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের চালক সিগন্যাল (সংকেত) অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানান, মন্দবাগ রেল স্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য এই সিগন্যাল দেওয়া হয়। ওই সিগন্যালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস প্রধান লেন থেকে ১ নম্বর লাইনে যেতে শুরু করে। ট্রেনটির ছয়টি বগি ১ নম্বর লাইনে উঠতে পেরেছিল। অন্য বগিগুলো প্রধান লেনে থাকা অবস্থায় তূর্ণা নিশীথা সিগন্যাল অমান্য করে। এতে তূর্ণা নিশীথার একাধিক বগি ওই ট্রেনের কয়েকটি বগির ওপর উঠে যায়। এতে উদয়নের তিনটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক নম্বর লাইন দিয়ে যাচ্ছিল। এজন্য তুর্ণা নিশীথাকে আউটারে থাকার সিগন্যাল (সংকেত) দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সংকেত অমান্য করে ট্রেনটি মূল লাইনে ঢুকে পড়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমার কোনো দোষ নেই।

জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খানও দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে তুর্ণা নিশীথার চালকের সংকেত অমান্য করার কথা জানিয়েছেন। পুরো ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

এছাড়া দুর্ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও দুটি কমিটি গঠন করেছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে