গাজায় দখলদার ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিন
ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের বিমান হামলায় আরও ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গাজার ২৪ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটলো। নিহতদের মধ্যে ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের দু’জন শীর্ষ পর্যায়ের কমান্ডার রয়েছেন।

বুধবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বলে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদলুর খবরে বলা হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৭১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। যাদের মধ্যে ৩০ শিশু ও ১৩ নারী রয়েছেন।

সোমবার মধ্যরাতে নিজের বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামি জিহাদের এক কমান্ডারকে ইসরাইলি হানাদার বাহিনী হত্যার পর নতুন করে উত্তেজনা চলছে।

মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া দখলদার বাহিনীর হামলায় ইসলামিক যোদ্ধারাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন। হামলার জবাবে গাজা থেকেও অবৈধ ইসরাইলে বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।

তেল আবিবের দাবি, ইসরাইলের ওপর রকেট হামলার প্রস্তুতি নেয়ার সময় এসব হামলা চালানো হয়েছে। যদিও ধারাবাহিক হামলায় হতাহত অধিকাংশই বেসামরিক ফিলিস্তিনি।

ইসলামিক জিহাদ নেতা খাদির হাবিব বলেন, ‘ইসরাইলের অস্তিত্ব মুছে দিয়ে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করব। সে পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত থাকবে। উন্মাদ নেতানিয়াহুকে মাথা নত করতে বাধ্য করব। আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া এই লড়াই তখনই শেষ হবে, যখন অপরাধীরা পরাজিত হবে।’

বুধবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, ইসলামি জিহাদ যদি রকেট নিক্ষেপ বন্ধ না করে, তবে তাদের আরও বড় আঘাত সইতে হবে।

প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলছে, উত্তেজনার পরিণতির সম্পূর্ণ দায় ইসরাইলকে বহন করতে হবে। ইসলামি জিহাদের কমান্ডার আবু আল-আত্তার হত্যাকাণ্ড বিনাবিচারে ছেড়ে দেয়া হবে না।

ইসরায়েলি হামলার জবাবে জিহাদ আন্দোলন এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকা থেকে ২০০’র বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি বিভাগ বলছে, এ পর্যন্ত তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত ৪৬ জনকে চিকিৎসা দিয়েছে।

ইসরায়েল এবং গাজার মধ্যকার সংঘর্ষের পর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ শুরু হয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য মিসর প্রচেষ্টা শুরু করেছে। অন্যদিকে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) আরব লীগ এবং জর্ডান ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছে।

এদিকে গাজা উপত্যকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরবর্তী নোটিশ না দেয়ার আগ পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। জাতিসংঘ পরিচালিত ফিলিস্তিনিদের শরণার্থী শিবিরের স্কুলও বন্ধ থাকবে বলে দেশটির শিক্ষামন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

অন্যদিকে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহও ইসরায়েলি হামলার সমালোচনা করেছে। সংগঠনটি ফিলিস্তিনিদের যেকোনো সংগ্রামের প্রতি নিজেদের সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে