দীর্ঘদিন ধরে চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে যারা স্বাধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন তাদের প্রতি সমর্থন জানানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে সতর্ক করেছে চীন সরকার।
বেইজিং বলেছে, ওয়াশিংটন ও লন্ডনকে হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যদি সহিংসতার বিরোধী হয় তাহলে তারা যেনো হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের সহিংস আচরণের নিন্দা জানায়। ওয়াশিংটন ও লন্ডন ধৈর্য অবলম্বনের সমার্থক বলে যে দাবি করছে তাকে স্ববিরোধী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে হংকংয় আন্দোলন চলছে। সম্প্রতি সেখানে এক নাগরিকের গায়ে আগুন দেয়ার ঘটনাকে অমানবিক বলে উল্লেখ করেন মুখপাত্র বলেন, তারা যদি হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের নিন্দা না জানায় তাহলে ধরে নেয়া হবে যে, চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ওই দুই দেশের গোপন কোনো দুরভিসন্ধি রয়েছে।
প্রায় পাঁচ মাস আগে হংকংয়ের পার্লামেন্টে একটি প্রত্যর্পণ বিল প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী, হংকংয়ের অপরাধীদেরকে চীন সরকারের কাছে হস্তান্তর করা যাবে। পার্লামেন্টে বিল উত্থাপনে পরপরই সেই বিল নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয় হংকংয়ে।
তবে প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হলেও ধীরে ধীরে সেটি সরকারবিরোধী বিক্ষোভ পরিণত হয়। চীন থেকে পূর্ণ স্বাধীনতার দাবিতে হংকংয়ের রাস্তায় নেমে আসেন লাখো মানুষ। বিশেষ করে সেখানকার শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
চাপের মুখে পরবর্তী সময়ে বিলটি প্রত্যাহার করে নেয় চীন নিয়ন্ত্রিত হংকংয়ের পার্লামেন্ট। তবুও সেখানকার তরুণরা স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। বিক্ষোভ দমনে পুলিশ সক্রিয় হলে বিক্ষোভও সহিংস রুপ নেয়। এছাড়া বিক্ষোভকারীদের অনেকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পতাকা নিয়ে স্লোগান দেন।