ভারতের কনফিডেন্ট লেভেল এতটাই বেশি যে, সাড়ে তিনশর নিচে লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে কোহলিদের ধারণা সত্য প্রমাণ করে চলছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। স্কোরবোর্ডে ৪৪ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা। লাঞ্চের আগে সফরকারীদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৬০ রান। ইনিংস হার এড়াতেই আরও প্রয়োজন ২৮৩ রান।
এখন দেখার বিষয়, আজ তৃতীয় দিনের পুরোটা খেলতে পারে কিনা বাংলাদেশ।
ইন্দোরে ৩৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই যথারীতি সেই আউট হওয়ার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেন ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ১৬ রানে উমেশ যাদবের বলে বোল্ড হওয়া ইমরুল কায়েসকে (৬) দিয়ে শুরু। স্কোরবোর্ডে ৬ রান যোগ হতেই অপর ওপেনার সাদমান ইসলামকে (৬) বোল্ড করেন পেসার ইশান্ত শর্মা। পরে অধিনায়ক মুমিনুল হক আর মোহাম্মদ মিঠুন দলের বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।
কিন্তু কোথায় কী? ব্যাটিং ব্যর্থতা অব্যাহত রেখে ৭ রান করে মোহাম্মদ শামির শিকার হন অধিনায়ক মুমিনুল হক। মোহাম্মদ মিঠুন যেন ওয়ানডে খেলতে নেমেছিলেন। ৪ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২৬ বলে ১৮ রান করে শামির দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন মুশফিকুর রহিম। জবাবে ৬ উইকেটে ৪৯৩ রান তুলে আজ শনিবার সকালে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ৩৩০ বলে ২৪৩ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেন ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল। এছাড়া আজিঙ্কা রাহানে ৮৬, রবীন্দ্র জাদেজা ৬০* এবং চেতেশ্বর পূজারা ৫৪ রান করেন। পেসার আবু জায়েদ রাহী নেন ১০৮ রানে ৪ উইকেট।
সাধারণত তৃতীয় দিনে টেস্টের গতিপথ পরিস্কার হয়ে যায়। কিন্তু এই টেস্টের ভাগ্য অনেকটা স্পষ্ট হয়ে গেছে প্রথম দুই দিনেই। প্রথম দিন মাত্র দুই সেশন ব্যাট করতে পেরেছে বাংলাদেশ। আজ তৃতীয় দিনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, ম্যাচ কি চতুর্থ দিনে নিতে পারবে টাইগাররা? এড়াতে পারবে ইনিংস হারের লজ্জা? তৃতীয় দিনের পিচ রিপোর্টে সুনীল গাভাস্কার বলেছেন, ‘উইকেটে টুকটাক কিছু ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে বটে, তবে তা খুবই হালকা। উইকেট এখনও ব্যাটিং সহায়ক।’