সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ফাইল চালাচালি হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাথমিক শিক্ষা

‘পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের ফাইল মন্ত্রণালয়ে চালাচালি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী চাইলে এ পরীক্ষা তুলে দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করা হবে। সে লক্ষ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নতকরণের কাজ শুরু হয়েছে।’

আজ রোববার রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল আন্ড কলেজ সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

রোববার সকাল থেকে সারাদেশে সুষ্ঠুভাবে সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা শুরু হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এ পরীক্ষা সুন্দরভাবে শেষ করতে মনিটরিং সেলের সঙ্গে জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনোভাবে যেন প্রশ্নফাঁস না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি করছে। পরীক্ষার আগে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানো কয়েকটি লিংক শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

এ বছর খাতা মূল্যায়ন বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, ‘পঞ্চম শ্রেণির খাতা মূল্যায়ন নিয়ে প্রতিবছর নানা ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ কারণে এ বছর এক উপজেলার খাতা অন্য উপজেলায় মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, প্রতি বছর ৩০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এজন্য একটি আলাদা বোর্ড তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা আয়োজনে একটি বোর্ড তৈরি করাটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন মহাপরিচালক।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে আক্রান্ত জেলাগুলোর সকল কেন্দ্রে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘বুলবুলে আক্রান্ত বিভিন্ন জেলায় নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হলেও সেসব স্থানে কোনো পরীক্ষা কেন্দ্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ কারণে সেসব জেলায় নির্ধারিত সকল বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।’

সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা থাকছে কি থাকছে না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘শিক্ষা নীতিমালা-২০১০’ অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করা হচ্ছে। পরীক্ষা থাকবে কি থাকবে না সে সংক্রান্ত ফাইল মন্ত্রণালয়ে চালাচালি করা হচ্ছে। সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার পর এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ বিষয়ে সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কমাতে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা তুলে দিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে। এর মাধ্যমে ছোট ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা কমে যাবে। তবে এ কার্যক্রম ২০২০ সাল থেকে চালু করার চিন্তাভাবনা থাকলেও এ বছর থেকে ১০০টি বিদ্যালয়ে তা পাইলটিং করা হবে। এতে সফলতা আসলে ২০২১ সাল থেকে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তা চালু করা হবে।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে