কোন কোন কোম্পানির চিপসের প্যাকেটে শিশুদের জন্য খেলনা দেওয়া হচ্ছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ১৪ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনকে (বিএসটিআই) প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিতে আজ রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে চিপসের প্যাকেটে শিশুদের জন্য খেলনা না দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিব, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিএসটিআই, এম এম ইস্পাহানি লিমিটেড ও ইনগ্রিন লিমিটেডের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৪ নভেম্বর চিপসের প্যাকেটে শিশুদের জন্য খেলনা দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামানের করা রিট আবেদনটি করেছিলেন।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, প্যাকেটের মধ্যে খেলনা থাকায় শিশুরা চিপস কেনার জন্য আগ্রহী হয়। দেখা যায়, চিপস খেতে খেতে অন্য মনস্ক হয়ে শিশুরা খেলনাতেও কামড় দিয়ে বসে। খেলনা শিশুদের পেটে ঢুকে যায়। এমন ঘটনায় প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২টি শিশু মারা গেছে বলেও আমরা তথ্য পেয়েছি। তাই আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, শিশুরা চিপস খাওয়ার সময় অবচেতন মনে খেলনাটাও খেয়ে ফেলার চেষ্টা করে। অনেক সময় তাদের পেটের মধ্যে খেলনা ঢুকে যায়। এটা খুবই অশনি সংকেত। প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর। এ কারণে রিটটি করেছি।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশে এমন ঘটনায় দুইটা বাচ্চা মারা গেছে বলে আমরা প্রতিবেদন পেয়েছি। আমরা আশংকা করছি যে, আমাদের দেশের কোনো শিশু চিপসের প্যাকেটে যে প্ল্যাস্টিকের খেলনা থাকে সেটা খাওয়ার পরে হয়তো এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।