ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখবে সরকার

মত ও পথ প্রতিবেদক

পেঁয়াজ
ফাইল ছবি

কৃষকের ন্যায্য দাম পাওয়া নিশ্চিত করতে আগামীতে ভরা মৌসুমে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ রাখার চিন্তা করছে সরকার। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর ফলে দেশের পেঁয়াজ চাষীরা সঠিক দাম পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

আজ রোববার ঢাকার একটি হোটেলে ফিনল্যান্ডের সঙ্গে ব্যবসায় সম্প্রসারণ নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে এক সেমিনারের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

universel cardiac hospital

দেড় মাসের বেশি সময় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। লাফিয়ে লাফিয়ে প্রায় ছয়গুণ বেড়ে নিত্যপণ্যটির দাম আড়াইশ টাকা পেরিয়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্গো বিমানে করে পেঁয়াজ আনার কথাও জানিয়েছে সরকার।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা এবার প্ল্যান করেছি, পিক অব দ্য সিজনে, আমরা চিন্তা করছি, সিদ্ধান্ত হয় নাই, আমরা পেঁয়াজ আমদানি তখন বন্ধ রাখব। যাতে করে আমাদের চাষীরা সঠিক মূল্য পায়। ইনশাআল্লাহ, এটা আমরা এবার করব। ইতোমধ্যে আমরা এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

দেশের চাষীদের পেঁয়াজ বাজারে এলে দামও সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে এসে যাবে। আমার বিশ্বাস তখন দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। এর মধ্যে ভারতও তাদের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ পেঁয়াজ দেশে উৎপাদন হয়। গতবছরও পেঁয়াজ আমাদের ভালো হয়েছিল। কিন্তু আগাম বৃষ্টি শুরু হওয়াতে কৃষকরা পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারেন নাই। বিদেশ থেকে আমদানি করে আমরা এটা মেটাতে পারতাম। হঠাৎ এভাবে ইন্ডিয়া পেঁয়াজের ওপর রেস্ট্রিকশন দিবে, ব্যান করবে রপ্তানি- এটা আমরা চিন্তাও করি নাই।

অভ্যন্তরীণ ঘাটতি পূরণের কথা বলে গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। সেসময় বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের কেজি ছিল সর্বোচ্চ ৫০ টাকা। তবে রপ্তানি বন্ধে ভারতের সিদ্ধান্ত জানার পর বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। সকালে-বিকালে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়ে সেই পেঁয়াজ এখন কেজি প্রতি আড়াইশ করে বিক্রি হচ্ছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে