রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড চায়।
আজ রোববার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৭ নভেম্বর (বুধবার) দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান বলেন, আমরা আশা করি রায়ে হলি আর্টিসান হামলা মামলার ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড হবে। মামলার সাক্ষ্য ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনে আমরা তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ রায় ইতিহাসে নজির সৃষ্টি হবে।
অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, মামলায় আসামিরা ন্যায়বিচার পাবেন। সাক্ষীদের জেরা ও যুক্তি উপস্থাপনে আমরা তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।
রোববার যুক্তি উপস্থাপনের আগে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। চতুর্থ দিনের মতো আজ আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করে।
তাদের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি খণ্ডন করে। এরপর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসানে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। একই বছর ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।
এছাড়া বিভিন্ন অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।
- মামলার রায় পুনর্বিবেচনা আবেদনের সিদ্ধান্ত নিল মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড
- বিস্ফোরণে নিহত ৬ জনের পরিচয় মিলেছে
- হলি আর্টিসান হমালা মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
হলি আর্টিসানে সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডারবোল্টে নিহত পাঁচ হামলাকারী হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
এছাড়া এ মামলায় আসামিদের মধ্যে বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত ৮ জন হলেন- তামিম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।