মাঠেই সতীর্থ ক্রিকেটারের গায়ে হাত তুললেন শাহাদাত!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শাহাদাত হোসেন রাজীব
শাহাদাত হোসেন রাজীব। ফাইল ছবি

বিতর্ক যেন কোনো কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শাহাদাত হোসেন রাজীবের! এই তো বছর দেড়েক আগে বাড়ির শিশুকর্মীর গায়ে হাত তুলে দারুণভাবে সমালোচিত, নিন্দিত হবার পাশাপাশি অর্থদণ্ড দিয়ে পার পেয়েছিলে তিনি। এবার আবার বড় ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন জাতীয় দলের এই সাবেক পেসার।

খুলনায় জাতীয় লিগের খেলা চলাকালীন সময়ে প্রকাশ্যে সতীর্থ ক্রিকেটারের গায়ে হাত তুলেছেন শাহাদাত হোসেন রাজিব। ফলে তাকে পড়তে হতে পারে নিষেধাজ্ঞায়।

জাতীয় লিগের এ পর্বে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে গতকাল রোববার ফিল্ডিংয়ের সময় সতীর্থ ক্রিকেটার আরাফাত সানির (সিনিয়র আরাফাত সানি নন, এ আরাফাত সানির বাড়ী ফরিদপুর। তিনি অফস্পিনার। ব্যাট করেন বাঁ হাতে) গায়ে হাত তুলে রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়েছেন রাজিব।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফিল্ডিংয়ের সময় প্রথমে রাজিব ও আরাফাত সানির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে ছুটে গিয়ে আরাফাত সানিকে চড় থাপ্পর মারতে থাকেন রাজিব। এমনকি লাথিও নাকি মারেন।

এ ম্যাচের ম্যাচ রেফারি সাবেক ক্রিকেটার শিপার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন নিজ চোখে। তিনি একটি রিপোর্টও দিয়েছেন। তার সে রিপোর্ট বোর্ডে চলেও গেছে। বোর্ডই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

শিপার বলেন, ‘অস্বীকার করার কিছুই নেই। প্রকাশ্য দিনের আলোয়, খেলা চলাকালীন সময়ে নিজ দলের ফিল্ডারকে থাপ্পর ও লাথি মারার ঘটনা ঘটেছে। ঘটিয়েছেন শাহাদাত রাজিব। সেটা না দেখার কিছুই নেই। শুধু আমি কেন? মাঠে উপস্থিত সবাই দেখেছেন।’

এদিকে শাহাদাত রাজিব যে দলের হয়ে জাতীয় লিগ খেলছেন, সেই ঢাকা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম অবশ্য বললেন অন্যরকম কথা। তার দাবি, গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা ঘটেনি।

তার ব্যাখ্যা, ‘আমরা ড্রেসিং রুম থেকে দেখেছি রাজিব আর আরাফাত সানির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। রাজিব তেড়ে গিয়ে শাসাচ্ছিল। তবে গায়ে হাত তুলেছে, তা দেখিনি আমি। আমার মনে হয় এটা নিছক ভুল বোঝাবুঝি। আমরা ড্রেসিং রুমে ঘটনাটি নিয়ে কথা বলেছি। এখন আর সমস্যা নেই।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে